নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নির্ধারিত রোস্টার অনুসারে কাজ করতে হবে। সংসদের উভয় কক্ষে যাঁর যেদিন হাজির থাকার কথা, সেদিন অবশ্যই আসতে হবে, গরহাজির থাকলে চলবে না। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে মন্ত্রীদের সংসদে হাজিরার ব্যাপারে কঠোর মনোভাব জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, তাঁরা সভায় না এলে তাঁকে অবশ্যই জানাতে দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, নির্দেশ থাকলেও, সংসদের রোস্টারে নাম থাকা সত্ত্বেও যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সংসদের বর্তমান অধিবেশনে হাজিরা দেননি, তাঁদের সবার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সংসদের অধিবেশন চলাকালে বিজেপি সাংসদদের অনুপস্থিত থাকা নিয়ে প্রায়ই উষ্মা প্রকাশ করেন। এবার মন্ত্রীদেরও নির্ধারিত রোস্টার মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে সংসদের যে কোনও একটি কক্ষে তাঁদের হাজির থাকার কথা। তাঁরা যেন অবশ্যই নিজেদের নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করেন।
চলতি মাসে এর আগেও প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যে দলীয় এমপিরা সংসদে বা বিভিন্ন কমিটিতে সদস্য হিসাবে থাকলেও পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে বা বিতর্কে থাকছিলেন না, তাঁদের ওপর দল কড়া নজর রাখছে।
মোদি দলে পদোন্নতির সঙ্গেও সংসদে উপস্থিতির বিষয়টি যুক্ত করেছিলেন, বিজেপি নেতাদের বলেছিলেন, হাজিরার রেকর্ড, কে কতবার প্রশ্ন তুলেছেন, সংসদীয় কমিটিতে কে কী করেছেন, সব তিনি খতিয়ে দেখছেন।
আজকের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সাংবাদিকদের বলেন, মোদি বিজেপি এমপিদের নিজ নিজ সংসদীয় কেন্দ্রকে লালন পালন করতে বলেছেন, সেখানকার উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে বলেছেন তাঁদের, কুষ্ঠ বা টিবি নিরাময়, জল সংরক্ষণের মতো মানুষের কাছে সংবেদনশীল বিষয়গুলি হাতে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। এবারের বিজেপি সাংসদদের অনেকেই এই প্রথম সংসদে এসেছেন। তাঁদের স্ব স্ব সংসদীয় কেন্দ্রের উন্নয়নে আবেগ দিয়ে কাজ করতে বলেন মোদি। প্রথম ভাবমূর্তিই প্রায় সময়ই স্থায়ী হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, সাংসদ হিসাবে নিজেদের কর্তব্য পালন ছাড়াও তাঁদের উচিত কোনও সামাজিক বা মানবিক বিষয়কে ‘মহান লক্ষ্য’ হিসাবে ধরে কাজ করা, যাতে তাঁদের ভূমিকার কথা মানুষ মনে রাখে। কুষ্ঠ, টিবির মতো অসুখ নিয়ে বলেন, মহাত্মা গাঁধীর প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। জোশী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন যে, গোটা বিশ্ব কুষ্ঠ নির্মূল করতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময়সীমা হাতে নিলেও ভারত ২০২৫ সালকে টার্গেট ধরেছে। সাংসদদের তিনি কুষ্ঠ নির্মূলীকরণে কাজ করতে বলেন।