নয়াদিল্লি: ইংরেজিতে একটা বহুল-প্রচলিত প্রবাদ আছে - ‘চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখন এই প্রবাদকেই সত্যি করে দেখানোর প্রতিজ্ঞা করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।


নোট বাতিলের জেরে যখন সারা দেশে নোটের আকাল তৈরি হয়েছে, তখন দেশবাসীকে ‘ক্যাশলেস’ পেমেন্টের জন্য উৎসাহিত করে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী।


এই পরিস্থিতিতে নিজের ‘ঘরে’-ও সেই একই নির্দেশ পালন করার নির্দেশ দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবারই সকল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও দফতরকে মোদী নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে অনলাইন বা চেকের মাধ্যমে লেনদেন করতে।


সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রিসভার যে বৈঠক ডেকেছিলেন মোদী, সেখানেই তিনি এই নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে, ঠিকাদাররা যাতে মজুরদের পেমেন্ট দিতে ‘ক্যাশলেস’ মাধ্যমকে অবলম্বন করেন, তার ওপর খেয়াল রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।


জানা গিয়েছে, লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে এবং দুর্নীতি রোধ করতেই মোদী সব মন্ত্রককে ‘ক্যাশলেস’ দাওয়াই দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর নির্দেশ ঠিকমতো পালন করা হচ্ছে কি না, তার জন্য প্রত্যেক মন্ত্রক বা দফতরের আধিকারিককে বলা হয়েছে, এই সংক্রান্ত স্টেটাস রিপোর্ট তাঁর নিজের দফতরে (পিএমও) পাঠাতে।


বৈঠকের পর বেরিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান জানান, ক্যাশলেস লেনদেন নিয়ে মোদী প্রচণ্ড সিরিয়াস। আমাদের আধিকারিকদের বলা হয়েছে, যথাসম্ভব ক্যাশলেস লেনদেনের ওপর নির্ভরশীল হতে।


পাসোয়ান জানান, তাঁর মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই), সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজং কর্পোরেশন (সিডব্লুসি), ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) এবং ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এনসিসিএফ) মতো দফতর। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই সেখানে ৯৯ শতাংশ লেনদেন ক্যাশলেস হয়ে গিয়েছে।


এদিকে, কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আরেকটি বৈঠক ডাকতে পারেন মোদী।