নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। ক্ষমতায় দ্বিতীয়বার আসার এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর এদিন প্রথমবার বৈঠকে বসে এনডিএ মন্ত্রিসভা। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, নীতিন গড়কড়ি, প্রকাশ জাভড়েকর , নরেন্দ্র তোমর সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা।  বৈঠকে লকডাউনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।


মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ দিন বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, নিতিন গডকরি ও নরেন্দ্র তোমর। সেখানেই ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেন তাঁরা।  সেই সঙ্গে কৃষকদেরও দেড় গুণ বেশি সহায়ক মূল্য দেওয়ার পাশাপাশি, ঋণ শোধ করার জন্য বাড়তি সময় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

জানানো হয় যে, ১৪টি খারিফ শস্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খরচের ৫০-৮৩ শতাংশ টাকা পাবেন কৃষকরা।

চলতি অর্থবর্ষে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল পিছু ৫৩ টাকা বাড়িয়ে ১,৮৬৮ টাকা করা হল।দেড় গুণ বেশি সহায়ক মূল্য পাবেন কৃষকরা।

বৈঠকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্র নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই বৈঠক সম্পর্কে  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, নিতিন গড়কড়ি ও কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর সাংবাদিক বৈঠক । সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়-

‘ক্ষুদ্র-কুটির-মাঝারি শিল্পে আর্থিক সাহায্য, প্যাকেজ মঞ্জুর মন্ত্রিসভার বৈঠকে'।

‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ’।

'ফুটপাতের দোকানদারকে ১০ হাজার টাকা করে ঋণ।'

‘২ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উপকৃত হবে’

‘আর্থিক সঙ্কটে জেরবার ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প লাভবান হবে’
‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে আরও কর্মসংস্থান’
‘ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ’
‘দেড় গুণ বেশি সহায়ক মূল্য পাবেন কৃষকরা’

অর্থ বিষয়ক বড়সড় ঘোষণা হতে পারে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ৭০ দিন ধরে দেশে লকডাউন চলছে। আজ লকডাউন ৫ শুরু হয়েছে। যা ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে আনলক পর্বও চলবে। এরইমধ্যে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।