নয়াদিল্লি: প্রথম দু’বছর গেছে চড়া মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক মন্দা সামলাতে। সামনের তিন বছরে পুরোদস্তুর উন্নয়নই নরেন্দ্র মোদী সরকারের টার্গেট। কেন্দ্র যে নীতি নির্ধারণ করেছে, তা পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮-র মধ্যে গ্রামীণ বিদ্যুদায়নের কাজ পুরোপুরি শেষ করতে চায় তারা। পাশাপাশি চায় দেশের ৬০,০০০ গ্রামে রাস্তা পৌছে দিতে।

কেন্দ্রের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, প্রথম দু’বছরে সমস্যার ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করেছে সরকার। বাধাপ্রাপ্ত আর্থিক উন্নয়ন ও মুদ্রাস্ফীতির জেরে দেখা দেওয়া ‘পলিসি প্যারালিসিস’ সামলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে তারা। এর মধ্যে যেমন রয়েছে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া, মুদ্রাস্ফীতিকে লাগাম দিতে সর্বস্তরের চেষ্টা, তেমনই দেশজুড়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্র। দুর্নীতি কমাতে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তেমনই মেক ইন ইন্ডিয়া, শ্রম আইনে সংশোধনের মাধ্যমে ও ব্যবসার সুযোগসুবিধে বাড়িয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার মত সামাজিক নিরাপত্তামূলক প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে ১০ কোটি নাগরিককে।

পাশাপাশি এই দু’বছরে স্পেকট্রাম, খনি ও খনিজ সম্পদ ও এফএম রেডিও সিগন্যালের বণ্টনে স্বচ্ছতা এনেছে কেন্দ্র। তাদের দাবি, সরকারি কাজকর্মে এখনও কোনও দুর্নীতির ছোঁয়া লাগেনি। কালো টাকা দেশে ফেরানোর চেষ্টাও শুরু হয়েছে, যদিও সরকার মেনে নিচ্ছে, দীর্ঘ পথ যেতে হবে তাদের। এ জন্য ইতিমধ্যেই মরিশাসের সঙ্গে ৩২ বছরের পুরনো কর চুক্তি সংশোধন করেছে তারা।

এছাড়া আধার ও ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে সরকারের বিপুল অর্থ সাশ্রয় হয়েছে বলেও দাবি করেছে কেন্দ্র। মুদ্রাস্ফীতিকে বেঁধে রাখা গেছে ৫ শতাংশের আশপাশে, ফলে অর্থনীতির গতি ঢিমেতালে চললেও এই আর্থিক বছরে উন্নয়নের হার ৭.৬ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলবে বলে তাদের আশা। সরকার মনে করছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার কিছুটা কমালে উন্নয়ন অনেক দ্রুতগামী হবে।

যদিও জিএসটির মত বিল এখনও বিরোধীদের বাধায় রাজ্যসভার বেড়া টপকাতে না পারায় উন্নয়নের গতি ঠিক আশাপ্রদ হয়নি বলেও তারা মনে করছে।