প্রসঙ্গত, রাহুলের এই টুইটের নেপথ্যে রয়েছে সম্প্রতি নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের একটি দাবি। তাদের দাবি, রাজ্যের আসন্ন নির্বাচন আপাতত স্থগিত রাখা হোক। আগে সেখানকার অভ্যুত্থান সমস্যার সমাধান হোক, সেটাই বিভিন্ন নাগা গোষ্ঠীর দাবি।
২০১৫ সালের অগাস্টে নাগাল্যান্ড শান্তি চুক্তি সই হয় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ন্যাশনাল সোশিয়ালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ডের মধ্যে। মূলত ওই এলাকায় অভ্যুত্থ্যান বন্ধ করাই ছিল এই চুক্তির মূল লক্ষ্য। কিন্তু এখনও অবধি এই চুক্তির বাস্তব রূপায়ন কেউ দেখেনি। কারণ, হিসেবে মোদীর একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণের মনোভাবকেই দায়ি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুলের দাবি, আজ অবধি কেউ এটাই বুঝতে পারেননি মোদী ওই চুক্তিতে কী সই করেছিলেন, আদও সই কিছু করেছিলেন কিনা, সেই নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। ঠিক একইভাবে সম্পূর্ণ একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১৬ সালের নভেম্বরের ৮ তারিখ নোট বাতিল এবং পরবর্তী সময় জিএসটি চালু করে দিয়েছিলেন মোদী। রাহুলের কথায় এটাই প্রধানমন্ত্রীর স্টাইল।
২০১৫ সালের সেই সময়ের কথা উল্লেখ করে রাহুল বলেন, তত্কালীন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধীকে ফোন করে মোদী জানান, তিনি নাগা চুক্তি সই করেছেন, এবং সেখানকার সমস্ত সমস্যার সমাধান করেছেন। এরপরই সোনিয়াজি, রাহুলকে ফোন করে সেই সময় অসম, অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দেখতে বলেন, যে তাঁরা আদও এই চুক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কিনা?
সূত্রের খবর, পরে ওই তিন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানেরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে যোগাযোগ করে এই চুক্তি সম্পর্কে জানতে চান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তাঁদের জানানো হয়, তাঁদের কাছে এই চুক্তি সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। তারপর ওই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনিও একই উত্তর দেন, দাবি রাহুলের। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাহুলের মন্তব্য, আসলে প্রধানমন্ত্রী কাজ করার ধরণের জন্যে নাগাল্যান্ডের মানুষরা আজ তাঁকে বিশ্বাস করেন না। সেইজন্যেই তাঁরা আপতত নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি তুলেছেন।