কালাবুর্গি (কর্নাটক): জাতীয় নায়কদের অপমান করেছে, সীমান্ত পেরিয়ে সার্জিক্যাল হামলার সত্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও ছোট করেছে। কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের প্রচারে কংগ্রেসকে এই ভাষায় তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদী। রাহুল গাঁধী জাতীয় গান বন্দেমাতরম-এর অপমান করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কালাবুর্গিতে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের একটি পরিবারের চরিত্রই হল জাতীয় নায়ক, দেশপ্রেমিকদের, দেশের ইতিহাসকে ভুলে যাওয়া। নেহরু, ভি কে কৃষ্ণ মেনন জেনারেল কে এস থিমাইয়াকে অপমান করেছিলেন। তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়। জেনারেল কে এম কারিয়াপ্পাকেও উপেক্ষা করেছিলেন ওঁরা।


এই দুই সেনাকর্তা ছিলেন কর্নাটকেরই মানুষ। কর্নাটকের ভোটারদের মন ছুঁয়ে যেতেই তাঁদের প্রসঙ্গ টানেন তিনি।
পাশাপাশি সর্দার বল্লভভাই পটেলের নাম তুলে মোদী বলেন, স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে হায়দরাবাদের নিজামকে ভারতভুক্তি মেনে নিতে চাপ দিয়ে বাধ্য করায় বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। কিন্তু কংগ্রেসের একটি পরিবারের ঘুমই উড়ে যায় সর্দার পটেলের নাম উঠলে। ঘটনাচক্রে কালবুর্গি যে এলাকার, সেটি নিয়ন্ত্রণ করতেন নিজাম।
ভোটারদের সেন্টিমেন্ট ছুঁয়ে যাওয়ার চেষ্টায় সীমান্তের ওপারে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী ট্রেনিং ক্যাম্পে ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল হামলার প্রসঙ্গ তুলেও তিনি বলেন, কংগ্রেস এর প্রমাণ চেয়েছিল। পাকিস্তানি সেনাদের দেহ ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর ছেপেছিল খবরের কাগজগুলি। আর ওরা প্রমাণ চায়। আমাদের জওয়ানরা এমন অভিযানে কি বন্দুক নিয়ে যান না ক্যামেরা সঙ্গে রাখেন? কংগ্রেসের এক নেতা সেনাপ্রধানকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর গুন্ডা বলে আক্রমণ করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

দলিত স্বার্থে লড়ে, কংগ্রেসের এই দাবি খন্ডন করে মোদী কর্নাটকের বিদারে একটি দলিত মেয়ের ওপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল এ ঘটনায় একটি কথাও বলেনি, কোনও মোমবাতি মিছিলও করেনি।
পাশাপাশি কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দলটা শুধু কী করে একটি পরিবারের অনুগত হয়ে থাকতেই জানে। কিন্তু আমরা ১৮৫৭ থেকে ১৯৪৭-এ দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা আদিবাসীদের স্মরণে স্মারক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।