একটি বাণিজ্য সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সরকার আর্থিক নয়ছয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং এটা চলতে থাকবে। সিস্টেমই জনগণের টাকা লুঠ হতে দেবে না।’
ভারতের আর্থিক অবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য একনজরে
- আপনাদের মনে থাকবে, চার বছর আগে ভারত আর্থিকভাবে সবচেয়ে দুর্বল পাঁচটি দেশের মধ্যে ছিল। আজ ভারতের ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা চলছে
- গত তিন-চার বছরে ভারত সারা বিশ্বের আর্থিক উন্নতির সঙ্গে নিজেকে শক্তিশালী করেছে। আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য বলছে, ২০১৩ সালের শেষদিকে বিশ্ব জিডিপি-তে ভারতের অবদান ছিল ২.৪ শতাংশ। আমাদের সরকারের চার বছরে সেটা বেড়ে হয়েছে ৩.১ শতাংশ
- বিশ্ব অর্থনীতির ৩ শতাংশ হওয়া সত্ত্বেও সারা বিশ্বের আর্থিক উন্নতিতে ভারতের অবদান ২১ শতাংশ
- মুদ্রাস্ফীতি, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি, রাজস্ব ঘাটতি, জিডিপি-র উন্নতি, সুদের হার, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ সহ ম্যাক্রো অর্থনীতির সব মাপকাঠিতেই ভাল ফল করছে ভারত
- গত তিন বছরে দেশের আর্থিক দুনিয়া অনেক নতুন শিক্ষা পেয়েছে। এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা না থাকলে, সুস্থ প্রতিযোগিতা আর থাকবে না। আমাদের সরকার ‘আটকানা, ভটকানা ও লটকানা’ সংস্কৃতি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে গোটা সিস্টেমই বদলে গিয়েছে
- জিএসটি-র ফলে দেশে করব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং রাজস্ব আদায় বেড়েছে
- নতুন কর্মসংস্কৃতির মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাওয়ার ফলে ভারত বদলে গিয়েছে
- আপনারা জানেন আগে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় কীভাবে ক্রোনি ক্যাপিটালিজম যুক্ত ছিল। আমাদের সরকার গত তিন মাসে ২,৭০০-রও বেশি এই ধরনের ঘটনার সমাধান করেছে
- গত চার বছরে আমাদের সরকার কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং মানুষের কথা ভেবে নীতি নিয়েছে। গরিবদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের কথাও ভাবা হচ্ছে