ট্যুইটারে মোদী লেখেন, ভারতের উন্নয়নে আডবাণীজীর পাহাড়প্রমাণ অবদান। যখন মন্ত্রী ছিলেন, তখনও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জনগণ-বান্ধব নীতি প্রনয়ণ করেছেন। রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে ওনার পান্ডিত্যের প্রশংসা করতেন সকলে।
আডবাণীর বাসভবনে গিয়েও শ্রদ্ধা জানান মোদী।
সবচেয়ে বেশি সময় বিজেপি সভাপতি পদে ছিলেন, দেশের উপপ্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন আডবাণী। ‘নিঃস্বার্থভাবে, বুদ্ধিমত্তা’র সঙ্গে বিজেপি গঠন, দলের কর্মীদের ‘চমত্কার ভাবে’ তৈরি করার ব্যাপারে আডবাণীর ভূমিকারও প্রশংসা করেন মোদী।
অমিত শাহ ট্যুইটে বলেন, আডবাণী বিজেপি সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন, কর্মীদের অনুপ্রেরণা দেন, পাশাপাশি সারা জীবনের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধও ছড়িয়ে দেন। জনসঙ্ঘ থেকে বিজেপি পর্যন্ত আমাদের আদর্শ জনতার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে, সংসদে একজন দক্ষ রাজনীতিক হিসাবে ভারতকে প্রগতির রাস্তায় নিয়ে যাওয়ায় ভারতীয় রাজনীতিতে আডবাণীজীর অবদান অতুলনীয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ বলেন, উনি বিজেপিকে তার সৃষ্টি থেকে লালনপালন করেছেন। আডবাণীজী কোটি কোটি দলীয় কর্মীর কাছে অনুপ্রেরণা। ঈশ্বর ওনাকে আশীর্বাদ করুন। ওনার দীর্ঘ জীবন, সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
আশি ও নব্বইয়ের দশক থেকে বিজেপির ধারাবাহিক উত্থানের কান্ডারী বলা হয় আডবাণীকে। ১৯৮৪-র লোকসভা ভোটে মাত্র ২টি আসন পাওয়া বিজেপি জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম প্রথম সারির শক্তি হয়ে ওঠে তাঁর জমানায়। যদিও ২০১৪-য় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁকে দলে কোণঠাসা করা হতে থাকে বলে দাবি তাঁর শিবিরের।