আমদাবাদ: আম আদমি পার্টি তথা অরবিন্দ কেজরীবালের ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিএ ও এমএ ডিগ্রি সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করে বিজেপি। কিন্তু তাতেও আক্রমণ ঢিলে করেনি আপ। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ওই নথিতেও গলদ রয়েছে। বিএ-র মার্কশিট ও এমএ ডিগ্রিতে মোদীর নামে সামঞ্জস্য নেই বলে দাবি করেন আপ নেতা আশুতোষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ  বলেছে, মোদী ‘কুমার’ বাদ দিয়ে তাঁর নামে কিছুটা বদল করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমএ পার্ট ওয়ানে ভর্তির সময় মোদী অ্যাডমিশন ফর্মে নিজের নাম লিখেছিলেন ‘নরেন্দ্রকুমার দামোদরদাস মোদী’। পার্ট টু-তে ওই নাম বদল করেন তিনি। তখন ‘কুমার’ বাদ দিয়ে তাঁর নাম হয় ‘নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী’। যদিও তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত নথিপত্র আসল বলেই জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মহেশ পটেল ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির ভিত্তিতে মোদী ১৯৮১-তে এমএ কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। সেজন্য ওই সময় তিনি ‘নরেন্দ্রকুমার দামোদরদাস মোদী’ নামটি ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু পার্ট টু-র ফর্ম ভরার সময় তিনি ‘কুমার’ বাদ দিয়ে লেখেন ‘নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী’। সেজন্য এমএ পার্ট টু-তে যে নাম দিয়েছিলেন তারই ভিত্তিতে ডিগ্রি দেওয়া হয়েছিল।ওই সময় কম্পিউটার ছিল না। সব কিছু হাতে হাতেই করতে হত। সেজন্য কেউ তার নামের অল্পবিস্তর বদল করতে পারত। এখন কম্পিউটারাইজড ব্যবস্থায় ভর্তির সময় একজন ছাত্র যে নাম লেখেন পার্ট-টু-তেও সেই নামই থাকে।
উল্লেখ্য, বহিরাগত প্রার্থী হিসেবে এমএ-তে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৯৮৩-তে ৮০০-র মধ্যে ৪৯৯ নম্বর নিয়ে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাশ করেন। উপাচার্য জানিয়েছেন, মোদী ৬২.৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।