নয়াদিল্লি: হাস্যরসকে প্রায়শই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও বিজেপি বিদ্রূপাত্মক কৌতুককারীদের নিশানা করেন বলে মোদির সমালোচকদের অভিযোগ।  বিজেপির বিরুদ্ধে এই অসহিষ্ণুতার অভিযোগ সত্ত্বেও সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাংশ অবশ্য মোদির ছবি সম্বলিত মিম তৈরি করা থেকে বিরত হননি। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তাঁর আলিঙ্গনের ছবি বা ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁর মুখভঙ্গীর ছবি নিয়ে মিম প্রায়ই দেখা যায় সোশাল মিডিয়ায়।
আজ বৃস্পতিবার সারা দেশ প্রত্যক্ষ করল এই দশকের শেষ সূর্যগ্রহণের দৃশ্য। বাদ যাননি মোদিও। তিনি এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে সাগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। সান গ্লাস পরে তাঁর সূর্যগ্রহণ দেখার কয়েকটি ছবি প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেন। হাতে ছিল প্রোটেকটিভ চশমাও। মোদি লেখেন, ‘অনেক ভারতীয়র মতো আমিও সূর্যগ্রহণ নিয়ে উত্সাহী ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আকাশ মেঘে ঢেকে যাওয়ায় সূর্য দেখতে পেলাম না। কিন্তু আমি কোঝিকোড় ও অন্যান্য জায়গার সূর্যগ্রহণের দৃশ্য লাইভ স্ট্রিমে দেখেছি। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে জ্ঞানও সমৃদ্ধ করেছি’।



গোপিস্তান রেডিও নামে একটি ট্যুইটার হ্যান্ডেল প্রায়ই বিদ্রুপাত্মক পোস্ট করা হয়। সেই হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর ওই ছবি তুলে ধরা বলা হয়, ‘এটা মিম হতে চলেছে’। ১৫ মিনিটের মধ্যেই মোদি সেই ছবি রিট্যুইট করে লেখেন, ‘স্বাগত জানাই...উপভোগ করুন’।



এরইমধ্যে অনেক ট্যুইটার ব্যবহারকারী 'মেঘের আড়াল' সংক্রান্ত মন্তব্য  তুলে ধরেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে একটি সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে, ভারতের পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালানোর সময় তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে, মেঘের আড়াল ভারতের যুদ্ধবিমানগুলিকে রাডারে ধরা না পড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তাঁর এই প্রস্তাব বালাকোটে হামলার সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভূমিকা নিয়েছিল।
মোদির ওই 'মেঘের আড়াল' সংক্রান্ত মন্তব্য ঘিরে বেশ কিছুদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গবিদ্রুপ চলেছিল।
এবার একজনের ট্যুইট- ‘বিকল্প শিরোনাম: মেঘের আড়াল সূর্যকে প্রধানমন্ত্রী মোদির রাডারে ধরা না পড়তে সহায়ক হল’।
অন্য একজন আবাদ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে মেঘের আড়াল সংক্রান্ত বক্তব্যের উল্লেখ করেছেন। তাঁর ট্যুইট- ‘মোদিজির পথে আবার এল মেঘ। হতে পারে মেঘ আপনাকে আমাদের অর্থনীতির হাল দেখা থেকে বাধা দিচ্ছে?’