ওই মহিলার মেয়ে এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মায়ের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, বাভ্রি এলাকার ভাবসার কলোনির বাসিন্দা শানু ওরফে প্রেরণা মহাজনের সঙ্গে সাগর ধারে নামে যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সাগরও ওই একই এলাকার বাসিন্দা। প্রেরণার মা সীমার প্রথম থেকেই এই সম্পর্কে আপত্তি ছিল। গত ১৭ আগসট প্রেরণা ও সাগর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে ইন্দৌরে বিয়ে করেন।
প্রেরণার পরিবারের লোকজন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। গত ১৯ আগস্ট প্রেরণা ও সাগর খারগোনে ফিরে আসেন। প্রেরণা থানায় গিয়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করান। তিনি জানান, নিজের ইচ্ছেতেই সাগরকে বিয়ে করেছেন।
সেই সময় থানায় চলে আসেন প্রেরণার পরিবারের লোকজনও। প্রথমটা বেশ শান্তই ছিলেন সীমা। কিছুক্ষণ পরে থানার ওয়াশরুমে যান তিনি। সেখান থেকে বেরিয়েই সাগরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ছুরির কোপ বসাতে শুরু করেন সীমা। নিজের পোশাকেই ওই ছুরি লুকিয়ে এনেছিলেন তিনি।
সীমাকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়ার পর প্রেরণা সাগরের কাছে ছুটে যান। রুমাল দিয়ে সাগরের রক্তপাত বন্ধ করার চেষ্টা করেন। পরে সাগরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রেরণা জানিয়েছেন, তাঁর বাবা ও দাদার এই বিয়েতে আপত্তি নেই। যত আপত্তি শুধু তাঁর মায়েরই। কিন্তু সেজন্য যে তাঁর মা এ ধরনের কাণ্ড করবেন, তা ভাবতেও পারেননি তিনি।
খারগোন কোতওয়ালির টিআই মাতা প্রসাদ ভার্মা জানিয়েছেন, সীমার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ছুরিটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।