নয়াদিল্লি: নিঠারির ধারাবাহিক ধর্ষণ ও খুনের মামলায়  ব্যবসায়ী মনিন্দর সিংহ পান্ধের ও তার পরিচারক সুরিন্দর কোহলির ফাঁসির সাজা দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের। বিশেষ আদালতের বিচারক এর আগে ২০ বছরের এক মহিলাকে ধর্ষণ, খুন, অপহরণ ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র মামলায় দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সাজা ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিল পান্ধের ও কোহলি।


তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। ২০০৬-এর ২৯ ডিসেম্বর দায়ের করা অষ্টম মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল দুজনকে।

সরকারি কৌঁসুলি আদালতে দুই দোষীর মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ফরেনসিক তথ্য থেকেই স্পষ্ট যে, কোহলি ও পান্ধের ওই মহিলাকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে খুন করেছিল।

২০০৫-র ৫ অক্টোবর ওই মহিলা কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় কোহলি তাকে লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডাকে। সেখানে তাকে খুন করে গলা কেটে নেওয়া হয়। তদন্তকারীরা ওই মহিলার কঙ্কাল পান্ধেরের বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার করেন।

২০০৬ সালে দেশ জুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল নিঠারিকাণ্ড৷ নয়ডার নিঠারি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় অসংখ্য তরুণী ও শিশুর হাড়গোড়৷ অভিযোগ ওঠে, তাদের হত্যা করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছে পান্ধের ও কোহলি। ঘটনায় ১৯টি মামলা দায়ের হলেও, প্রমাণের অভাবে বেশ কয়েকটি খারিজ হয়ে গিয়েছিল।