নয়াদিল্লি: নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। চেক ইন কাউন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছে দেখে শুরু করেন হইচই। চেঁচামেচি, গালিগালাজ তো বটেই, প্রিন্টার আছড়ে ফেলেন মাটিতে। অভব্য ব্যবহারের কারণে তেলুগু দেশম সাংসদ জে সি দিবাকর রেড্ডিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সবকটি ঘরোয়া বিমান সংস্থা।

অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী অশোক গজপতি রাজু জানিয়েছেন, বিষয়টির তদন্ত হবে।

গতকাল সকাল আটটা দশ মিনিটে বিশাখাপত্তনম থেকে দিবাকর রেড্ডির হায়দরাবাদের উড়ান ধরার কথা ছিল। বিমান সংস্থার নিয়ম হল, ঘরোয়া বিমান ছাড়ার ৪৫ মিনিট আগে চেক ইন কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়, তার আগেই হাজির হতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু রেড্ডি এসে যখন এসে পৌঁছন, তখন বিমান ছাড়তে আর মাত্র ২৮ মিনিট, চেক ইন কাউন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিমানে উঠতে পারবেন না দেখে তুলকালাম করেন তিনি। অবশ্য এই প্রথম নয়, গত বছরও বিজয়ওয়াড়ায় উড়ান মিস করে তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার অফিস ভাঙচুর করেন।

পরে অবশ্য ওই উড়ানেই তাঁর গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয় কিন্তু পরে সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থা তো বটেই, অন্যান্য সংস্থাও তাঁকে তাদের উড়ানে নিষিদ্ধ করে।

শিবসেনা সাংসদ রবীন্দ্র গায়কোয়াড় এক বিমান কর্মীকে মারধর করলে সে ক্ষেত্রেও এমনই ব্যবস্থা নিয়েছিল বিমান সংস্থাগুলি।

উড়ান পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টির তদন্ত করে আইন অনুযায়ী যা করা উচিত তাই করবেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের দলের সাংসদ বলে অত অশান্তির পরেও রেড্ডির ওই বিমানেই সফর তিনি নিশ্চিত করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

শিবসেনা সাংসদ রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের ঘটনার পর ভারত সরকার অভব্য যাত্রীদের জন্য নো-ফ্লাই তালিকার খসড়া তৈরি করেছে। বলা হয়েছে, এ ধরনের যাত্রীদের ৩ মাস থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য উড়ান ধরা নিষিদ্ধ করা হবে। শিগগিরই তা আইনে পরিণত হওয়ার কথা।