নয়াদিল্লি: এনএসজি-র সদস্যসংখ্যা বাড়াতে গেলে সদস্য দেশগুলির মতৈক্যে পৌঁছনো জরুরি। আর সে জন্য দরকার এ ব্যাপারে আরও আলোচনা চালানো। ৪৮ সদস্যের পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী বা এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এই মন্তব্য করল চিন। এক অনলাইন বিবৃতিতে চিনা বিদেশ মন্ত্রক তাদের আগের অবস্থানেই অনড় থেকে মন্তব্য করেছে, পরমাণু অস্ত্রপ্রসাররোধ চুক্তি বা এনপিটি সই না করে কোনও দেশ কীভাবে এনএসজি-তে প্রবেশাধিকার পেতে পারে, তা নিয়ে সদস্য দেশগুলির মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। যদি এনপিটি স্বাক্ষর না করা দেশগুলি এনএসজি-তে ঢুকতে চায়, তবে এ নিয়ে বিশদে আলোচনা দরকার। আলোচনার মাধ্যমেই মতৈক্য সম্ভব।


চিন তো বটেই, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রিয়াও এনপিটি সই না করা দেশের এনএসজি-তে প্রবেশের বিরোধী। বিরোধী রাষ্ট্রগুলির বক্তব্য, এনপিটি সই না করা সত্ত্বেও ভারতকে এনএসজি-র সদস্যপদ দিলে পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধের চেষ্টা অনেকটা লঘু হয়ে যাবে। চটে যাবে পাকিস্তানও। কিন্তু দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে ভারত যাতে এনএসজি-তে প্রবেশাধিকার পায়, সে জন্য নয়াদিল্লির পাশে রয়েছে ওয়াশিংটন। এনএসজি-র সদস্য দেশগুলিকে এ ব্যাপারে অনেকটা নরমও করে ফেলেছে তারা। কিন্তু চিন পরিষ্কার করে দিয়েছে, এশিয়ায় তাদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া ভারত নয়, তাঁবেদার দেশ পাকিস্তানকে তারা এনএসজি-তে দেখতে চায়। অথচ এক পাক বিজ্ঞানী যেভাবে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মত দেশে পরমাণু প্রযুক্তি পাচার করেছেন, তাতে পাকিস্তানের হাতে পরমাণু শক্তি কতটা নিরাপদ তা নিয়ে গোটা বিশ্বের সন্দেহ রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের সদস্যপদ নিয়ে সিওলে ২০ তারিখ এনএসজি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে। কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ভারতকে এনএসজিতে প্রবেশাধিকার দিতে ওবামা প্রশাসন চেষ্টার ত্রুটি করছে না।