ভোপাল: গোরক্ষার নামে হিংসা, তাণ্ডব মোকাবিলায় মধ্যপ্রদেশ সরকার ৬ মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাবাসের ব্যবস্থা রাখতে ২০০৪-এর মধ্যপ্রদেশ গো-গাই নিধন রোধ আইনে সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দিল। বুধবার কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের পৌরহিত্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। স্বঘোষিত গোরক্ষকদের শাস্তি দিতে চায় রাজ্য সরকার। গো নিধন রোধ আইন বদলের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার সম্মতির খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজ্যের পশুপালন দপ্তরের মন্ত্রী লখন সিংহ যাদবও। ৮ জুলাই থেকে শুরু হতে চলা রাজ্য বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে প্রস্তাবটি পেশ করা হতে পারে। সেটি বিধানসভায় পাশ হলে গরু বাঁচানোর নামে হিংসায় জড়িত লোকজনের ৬ মাস থেকে তিন বছরের জেল বা ২৫ থেকে ৫০০০০ টাকা জরিমানা ও একসঙ্গে দুটিই হবে। আবার হিংসায় জনতার ইন্ধন, অংশগ্রহণ থাকলে কারাবাসের মেয়াদ বেড়ে এক থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর হতে পারে বলে লখন সিংহ জানান। সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বারবার একই অপরাধ করা লোকজনের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ সাজার প্রস্তাবও রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সংশোধনীতে গোরক্ষার নামে হিংসায় উসকানি দেওয়া লোকজনের এক থেকে তিন বছর জেলের প্রস্তাব রয়েছে। সম্পত্তি ভাঙচুর করলেও শাস্তির কথা রয়েছে।
গত মাসে মধ্যপ্রদেশের সিওনিতে গোমাংস নিয়ে যাওয়ার সন্দেহে এক মুসলিম পুরুষ ও মহিলাকে প্রহারের পরিপ্রেক্ষিতেই ২০০৪ এ রাজ্যের তত্কালীন বিজেপি সরকারের আমলে পাশ হওয়া আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার।