ইন্দোর: গত ৬ এপ্রিল মারা গিয়েছিলেন হয়েছিল ৪২ বছরের এক করোনা আক্রান্ত। এর প্রায় দুই মাস পর ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানাল মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দফতর। এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এক আধিকারিক শুক্রবার বলেছেন, ৪২ বছরের ওই করোনা আক্রান্তর মৃত্যু হয়েছিল। জেলার সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ বুলেটিনের সঙ্গে ওই রোগীর মৃত্যুর কথা জানানো হয়।
মৃত্যুর খবর জানানোর ক্ষেত্রে এই বিলম্বের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেল্থ অফিসার (সিএমএইচও) এমপি শর্মা বলেছেন, কোন পর্যায়ে এই বিলম্ব ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেছেন,অনেক সময়ই হাসপাতালগুলি কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুর খবর দেরি করে জানায়। কিন্তু এটা সত্যি যে, এত বিলম্ব হওয়া উচিত ছিল না। এই পদ্ধতিকে খুব শীঘ্রই সঠিক করা হবে।
এই বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেস ও ইন্দোরের সমাজকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার নিজেদের সুবিধামতো কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর কথা জানাচ্ছে। এই দীর্ঘসূত্রিতায় রাজ্য সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরিসংখ্যাণের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
এ বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলেছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র আমিনুল খান সুরি এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন।
ওই বুলেটিনে স্বাস্থ্য দফতর ইন্দোরের বিভিন্ন হাসপাতালে আরো তিন আক্রান্তের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। সবমিলিয়ে ইন্দোর জেলায় কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা ১৪৯, যা রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় ৫৪ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সবমিলিয়ে আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩,৬৮৭। এরমধ্যে সংক্রমণ-মুক্ত ২,২৪৩।