ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর জানিয়েছে, এই কিট ব্যবহার করা হবে করোনা প্রভাবিত হটস্পট এলাকায় সম্ভাব্য রোগীদের উপরে নজরদারির কাজে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ ধরার জন্য আরটি-পিসিআরই পদ্ধতিই শেষ কথা। এর মাধ্যমে পজিটিভ হওয়া রোগী সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়া যায় শতকরা ৯৯ শতাংশ৷ তবে আরটি-পিসিআর সময় এবং খরচসাপেক্ষ। দু'টি পরীক্ষার জন্য খরচ ৪,৫০০ টাকা। দেশের বিপুল জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখে দ্রুত নজরদারির জন্য তাই ভারতের মতো দেশকে বিভিন্ন পন্থা নিতে হচ্ছে। যেমন, পুল টেস্টিং। হটস্পটগুলিতে পাঁচ জনের নমুনা একসঙ্গে নিয়ে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে বোঝা যাচ্ছে, কেউই আক্রান্ত নন। পজিটিভ এলে তখন সকলের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
খরচের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আইসিএমআরের চিফ সায়েন্টিস্ট রামন গঙ্গাখেদকরও৷ তিনি বলেছেন, 'হটস্পট এলাকাগুলিতে র্যাপিড টেস্ট কিটের ব্যবহারের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়টিও জড়িত আছে৷ ভারত ১৩২ কোটির দেশ, এটা ভুলে গেলে চলবে না৷'
ঘটনা হল, দেশের ১৭০টি জেলাকে ইতিমধ্যেই হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ এই জেলাগুলিতে থাকা কোনও ব্যক্তির সর্দি, কাশি, জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলেই তাঁর পরীক্ষা করা হবে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে।
আপাতত ৫০ হাজার র্যাপিড কিট পাচ্ছে মধ্যপ্রদেশ। সেখানকার করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ইনদওরে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মধ্যপ্রদেশকেই সবার আগে র্যাপিড কিট দেওয়া হচ্ছে।