নয়াদিল্লি ও কলকাতা: সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মুকুল রায়ের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ধোঁয়াশা। সূত্রের খবর, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এ কে জ্যোতি-সহ দুই নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন তিনি।


ফলে নতুন দল তৈরির বিষয়ে নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতেই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও, মুকুলের দাবি, তিনি নতুন দল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কমিশনের কাছে যাচ্ছেন না। তাঁর যাওয়ার উদ্দেশ্য, আগামী বিধানসভা উপ-নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা।


এদিন এবিপি আনন্দকে মুকুল বলেন, আগামী নভেম্বরেই পশ্চিমবঙ্গের দুটি বিধানসভা আসনে উপ-নির্বাচন হবে। আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, যাতে ভোটগ্রহণ অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। এপ্রসঙ্গে, তিনি কমিশনকে নির্দিষ্ট পরামর্শ দেবেন বলেও জানান তিনি।


তিনি কী বিজেপিতে যোগ দেবেন? বেশ কয়েকদিন ধরেই এই প্রশ্নটি ঘোরাফেরা করছে। যদিও, সদ্যপ্রাক্তন সাংসদ এই নিয়ে এদিনও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে একইসঙ্গে তিনি জানান, কোনও নতুন দল গঠনের ভাবনা তাঁর নেই।


প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মুকুল রায়ের উদ্যোগে ন্যাশনালিস্ট তৃণমূল কংগ্রেস নামে নতুন দলের জন্য আবেদনপত্র কমিশনে জমা পড়েছিল। স্বীকৃতি পাওয়ার পর ওই দলে অবশ্য যোগ দেননি মুকুল রায়।


গতকালই, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন মুকুল রায়। উপ-রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন। কিন্তু পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি। শুধু বলেন, ‘কালীপুজো পর্যন্ত ছুটি কাটাব। তার পর সিদ্ধান্ত নেব কোন দলে যাব।’