লখনউ: ৬ বছরের জন্য অখিলেশ সিংহ যাদবকে বহিষ্কার করলেন মুলায়ম সিংহ যাদব। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টির (সপা) ঘরোয়া বিবাদে নয়া মাত্রা যোগ করলেন তিনি।


৬ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি দল থেকে তাড়ানো হয়েছে সপা সাধারণ সম্পাদক রামগোপাল যাদবকেও। এদিন প্রথমে ছেলেকে সরকারি দলীয় প্রার্থী তালিকার পাল্টা ২৩৫ জন প্রার্থীর আলাদা তালিকা ঘোষণা  করায় শো কজ করেন মুলায়ম। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রামগোপালকেও প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন তিনি। পাল্টা রামগোপাল ১ জানুয়ারি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে জরুরি বৈঠক ডাকেন। সন্ধ্যায় অখিলেশ, রামগোপাল, দুজনকেই বহিষ্কার করেন মুলায়ম। বলেন, দলের সভাপতি বাদে অন্য কেউই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডাকতে পারেন না। বৈঠক ডেকে দলের স্বার্থে আঘাত করেছেন রামগোপাল।


মুলায়মের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অখিলেশ-সমর্থকরা।


গতকাল মুলায়মের সঙ্গে দেখা করেও তাঁর প্রার্থীতালিকা সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছিলেন অখিলেশ। কিন্তু তাতে বরফ গলেনি। মুলায়মের ঘোষিত প্রার্থীতালিকার পাল্টা গতকাল রাতে অখিলেশের বলে যে তালিকাটি দেওয়া হয়, তাতে অখিলেশের সই ছিল না। মুলায়মের প্রার্থীতালিকায় যাঁদের নাম ছিল না, সেই অখিলেশ-পন্থীরাই সোস্যাল মিডিয়ায় সেটি তুলে দেন। তাতে ১৭১ জন দলীয় বিধায়ক, ৬৪জন  নতুন মুখের নাম ছিল।


এই প্রেক্ষাপটে শনিবারই মুলায়ম তাঁর ঘোষণা করা প্রার্থীতালিকার সবাইকে নিয়ে বৈঠক ডাকেন। পাল্টা অখিলেশ শিবির কঠোর অবস্থান বহাল রেখে জানিয়ে দেয়, তারাও মুলায়মের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়বেন।


মুলায়ম ক্ষোভ উগরে দেন অখিলেশের বিরুদ্ধে। রামগোপালের ডাকা বৈঠককে কী করে 'সমর্থন করছেন' অখিলেশ, সেই প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি বলেন, দল যখন প্রার্থীতালিকা দিল, তারপর কী করে অখিলেশ আলাদা প্রার্থীতালিকা দিল? অখিলেশ, রামগোপাল, দুজনেই দলটাকে শেষ করে দিতে চায়। আমি সেটা হতে দেব না।


বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মুলায়মের দাবি, তিনি অনেক কষ্ট করে যে দল গড়েছেন, তাকে রক্ষা করতেই ব্যবস্থা নিলেন অখিলেশ, রামগোপালের বিরুদ্ধে। আমিই তো ঘটা করে অখিলেশকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলাম।


ঘোষণার সময় মুলায়মের পাশে ছিলেন শিবপাল যাদব, যাঁর সঙ্গে সম্পর্ক বিষিয়ে উঠেছে অখিলেশের।