লখনউ: বহু মানুষকে প্রেরণা জুগিয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। জীবনের পথে তাঁকে শিক্ষক বলে গণ্য করেন লাখো দেশবাসী। কিন্তু সেই কালামের শিক্ষক কে জানেন? যাঁর নাম শুনলে কোনওভাবেই মাস্টারমশাইয়ের কথা মনে পড়ে না, সেই মুলায়ম সিংহ যাদব।

কালাম নিজেই জানান, মুলায়ম হিন্দি শেখান তাঁকে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি এস এম খান জানিয়েছেন, কালাম তাঁকে বলেন, এসপি সুপ্রিমোর কাছ থেকে হিন্দিতে সড়গড় হন তিনি। ২০০৪-এর ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশে মুলায়মের গ্রাম সৈফাইতে ৪০,০০০ কৃষকের সামনে বক্তৃতা দিতে উঠে কালাম বলেন, যেটুকু যা টুটাফুটা হিন্দি তিনি শিখেছেন, সবটাই মুলায়মের অবদান। মুলায়ম যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন, তখন কালাম ছিলেন তাঁর বিজ্ঞান সংক্রান্ত উপদেষ্টা। সে সময় মুলায়ম হিন্দিতে কথা বলতে শেখান তাঁকে। অবশ্য বক্তৃতার বাকিটা ইংরেজিতেই করেন তিনি।

এস এম খান জানিয়েছেন, হিন্দি বলয়ে কালামের সঙ্গে গেলে জনতার সামনে তাঁর বক্তৃতার নিয়মিত হিন্দি অনুবাদ করে যেতেন তিনি। আর মিসাইল ম্যানের কাছে সব সময় থাকত নতুন নতুন আইডিয়ার সম্ভার। ২০১২-র মে মাসে লখনউয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি যেমন বলেন, উত্তরপ্রদেশের স্কিল ম্যাপ তৈরি করা হোক। দাবি করেন, গোটা বিশ্বের ১০০জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাদারের মধ্যে ৮জন সরাসরি আসতে পারেন উত্তরপ্রদেশ থেকে। কারণ এখানে কয়েকশো বছর ধরে হরেকরকম পেশার চর্চা চলছে। এখানকার ভাদোহির কার্পেট, মোরাদাবাদের পেতলের বাসন, ফিরোজাবাদের কাঁচের বাসন, মালিহাবাদের আম, মীরাটের কাঁচি, আলিগড়ের তালা, খুরজার চিনামাটির জিনিস, কানপুরের চামড়ার কাজ আর লখনউয়ের চিকনকারি বিখ্যাত।

তিনিই প্রথম রাষ্ট্রপতি, যিনি রাষ্ট্রপতি ভবনের দরজা উন্মুক্ত করে দেন সাধারণ মানুষ ও ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য।