নয়াদিল্লি: দিল্লি, মুম্বই, অহমেদাবাদে কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ নামছে, মৃত্যর হারও অন্য দেশের তুলনায় অনেকটা কম, কিন্তু তাই বলে নিরাপত্তায় ঢিলে দিলে চলবে না, এমনটাই মনে করছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস)-এর ডিরেক্টর তথা ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতে করোনা মহামারীর সংক্রমণ ও প্রসার, মৃত্যুর হার, বর্ষায় ভাইরাসের প্রকৃতি কেমন হবে তা নিয়ে সার্বিকভাবে কথা বলেন ডঃ গুলেরিয়া। তাঁর মতে দেশের ভিন্ন ভিন্ন অংশে আলাদা আলাদা সময়ে সংক্রমণের হার শীর্ষে পৌঁছবে। তিনি বলেন, দিল্লিতে আপাতত সংক্রমণের হার কমছে। দেশের অন্য কিছু অংশেও এমনটা হচ্ছে। যেমন মুম্বই, অহমেদাবাদ, দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশেও করোনার দাপট কমেছে। কিছু জায়গায় শীর্ষে পৌঁছে এবার ধীরে ধীরে গ্রাফ নেমে আসছে।

কিছু জায়গায় যে কেস বাড়ছে সেদিকেও দিকনির্দেশ করেন ডঃ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, বিহারে, অসমে কেস বাড়ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের আরও আগুয়ান হয়ে পরিস্থিতি সামলাতে হবে।

ডঃ গুলেরিয়া জানিয়েছেন মাস্ক, নিরাপদ দূরত্ববিধি-র সাহায্যেও দেশের কিছু প্রান্তে কেস কমেছে।

কনটেনেমন্ট জোনের ব্যাপারে এইমস কর্তা বলেন, শুধু লকডাউন করলেই হবে না, এলাকার সব বাড়ির দিকে নজর রাখাও জরুরি।কোথাও নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কীনা, তাকে আলাদা করে রাখা হচ্ছে কীনা এই তথ্যগুলো জানা খুব জরুরি।

কেন ভারতে মৃত্যুর হার কম সে সম্পর্কে ডঃ গুলেরিয়ার মত, এদেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে ওঠার হার যথেষ্ট ভালো। তাঁর মতে আক্রান্ত হওয়া অসংখ্য মানুষ খুব সামান্য চিকিৎসাতেই বা প্রায় চিকিৎসা ছাড়াই একটা সময়ের পর সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। গড়পড়তা ভারতীয়দের রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা যথেষ্ট ভালো বলেই এমনটা হচ্ছে বলে তাঁর মত। পাশাপাশি, বিসিজি ভ্যাকসিনের প্রভাবে ইমিউনিটি বেড়েছে, এমনটাও হয়ে থাকতে পারে।আবার এশিয়া মহাদেশে ফ্লু গোত্রীয় ভাইরাসের নিয়মিত একটা যাতায়াত আছে। তার সংস্পর্শে থেকে ভাইরাস প্রতিরোধক একটা ক্ষমতা ভারতীয়দের মধ্যে তৈরি হয়ে থাকলেও থাকতে পারে।তবুও বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে ভাইরাসের বেশিক্ষণ বেঁচে থাকার প্রবণতা ভাবিয়ে তুলছে এইমস ডিরেক্টরকে।