মুম্বই:  কয়েকমাস ধরেই ১২ বছরের মেয়ে মোটা হয়ে যাচ্ছিল। বাবা-মা ভেবেছিলেন থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত মেয়ে। মেয়ের স্থূলতার চিকিত্সা করাতে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন মা-বাবা। সেখানে গিয়ে ধরা পড়ল মেয়ে ২৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়ের এই অবস্থা দেখে কার্যত দিশেহারা বাবা-মা এবার দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ। কারণ, তাঁরা গর্ভপাত করাতে চান।

প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকেই এমন এক দশ বছরের নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি আদালত। কারণ চিকিত্সকদের দাবি ছিল, সেই সময় গর্ভপাত করালে তাঁর প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে। বর্তমানে সে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এখন একই রকম সমস্যায় পড়েছেন মুম্বইয়ের এই পরিবার। বুধবার রাতে তাঁরা চিকিত্সক নিখিল ডাটারের দ্বারস্থ হন। ডাক্তারের কথায়, মেয়েটির বাবা-মা ভেবেছিলেন তাঁদের সন্তান থাইরয়েডে আক্রান্ত, তাই মারাত্মক মোটা হয়ে যাচ্ছে। আল্ট্রাসনোগ্রাফির পর আচমকা আসল সত্যিটা সামনে আসে। মেয়েটির মায়ের দাবি, আল্ট্রাসোনগ্রাফির আগে তিনি পর্যন্ত বুঝতে পারেননি যে তাঁর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার আগে, সবধরনের আইনি কাগজপত্র সংগ্রহ করছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, ভারতে কুড়ি সপ্তাহের পর গর্ভপাতের নিয়ম নেই। তবে যদি মায়ের প্রাণহানির কোনও আশঙ্কা না থাকে, তাহেল সেক্ষেত্রে ভেবে দেখা হয়। এইরকমই এক ক্ষেত্রে হরিয়ানার বাসিন্দা দশ বছরের এক ধর্ষিতাকে গর্ভধারণের ২১ সপ্তাহ পরও গর্ভপাতে অনুমতি দেয় আদালত।