নিজের জীবন বাজি রেখে অন্যদের বাঁচিয়ে দেওয়ার অনন্য কীর্তি গড়ে সাহসিকতার জন্য সোনার মেডেল পেয়েছিল এই সাদা ল্যাবরাডর। ওর সাহসিকতার কথা শুনে ওকে মেডেল পরিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন।
‘ম্যাক্স’-এর বিপদ আগাম বুঝে নেওয়ার ক্ষমতার পরিচয় মিলেছিল আগে-পরেও। ২০০৬ সালে ৭/১১-র নাশকতায়, ২০১১-র জাভেরি বাজারের বিস্ফোরণস্থল থেকেও সে বিস্ফোরক উদ্ধারে সাহায্য করেছিল।
১০ বছর মুম্বই পুলিশের হয়ে কাজ করার পর গত বছর অবসর নেয় সে।
২০০৪ সালে জন্ম ‘ম্যাক্স’-এর। অবসর নেওয়ার পর তাকে রাখা হয় মুম্বইয়ের বাইরে বিরার শহরের হোমে। সেখানে আরও ৪০০ কুকুরের সঙ্গেই দিন কাটছিল তার।
কিন্তু পরিতাপের কথা হল, অবসর নেওয়ার পর ‘ম্যাক্স’কে কারও মনে পড়েনি। ওকে শেষ বিদায় জানাতে আসেননি একজনও পুলিশ অফিসার। সবাই ব্যস্ত ছিলেন আইপিএল নিয়ে। তাকে সমাধিস্থ করেন হোমের কেয়ারটেকার ফিজ্জা শাহ, প্রাক্তন হ্যান্ডলার সুভাষ গাওড়ে। হোমের অন্য ল্যাবরাডররাও হাজির ছিল।
সম্মান হিসাবে জাতীয় পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয় ‘ম্যাক্স’-এর দেহ। অনাড়ম্বরেই চিরঘুমে শায়িত করা হয় তাকে।