মুম্বই/ বেঙ্গালুরু: মুম্বইয়ের কট্টরপন্থী মৌলবী জাকির নায়েকের বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত হয়ে গণহত্যায় লিপ্ত হয় ঢাকা সন্ত্রাসের দুই খুনি নিব্রাস ইসলাম ও রোহান ইমতিয়াজ। তাদের উৎসাহ জোগায় বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা মেহদি মাসরুর বিশ্বাসের খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করা টুইটও। @শামিউইটনেস নামে টুইটার হ্যান্ডেল চালানো মাসরুর আপাতত জেলবন্দি।


পেশায় চিকিৎসক জাকির নায়েক ওসামা বিন লাদেনকে জঙ্গি মানতে অস্বীকার করে পাদপ্রদীপের আলোয় আসে। তাকে কেন ব্রিটেনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, তার ইচ্ছে, সব মুসলিম সন্ত্রাসবাদী হোক। এই মুহূর্তে সৌদি আরবে থাকা জাকির টেলিভিশনে কট্টর জেহাদপন্থী সালাফি মতামত প্রচারের জন্য বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। ব্রিটেন ছাড়া তার কানাডা ও মালয়েশিয়ায় প্রবেশের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

উল্টোদিকে মেহদি মনসুর বিশ্বাস আইএসআইএসের হয়ে টুইটারে প্রোপাগান্ডা চালাত। ২০১৪-র ডিসেম্বরে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত অসংখ্য ফলোয়ার ছিল তার অ্যাকাউন্টে। চার্জশিটে পুলিশ বলেছে, কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়া গিয়ে আইএসে নাম লেখানো যায়, টুইটারে তার রাস্তা বাতলে দিত সে। জিহাদের সমর্থনে বহু ব্লগ ও অনলাইন লেখালেখিতে তার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে কারণ মনে করা হত, তা বিশ্বাসযোগ্য। এছাড়া পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক, জঙ্গিয়ানায় প্রশ্রয় দেওয়া আঞ্জেম চৌধুরির মতাদর্শও তাদের উৎসাহ জুগিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, নিব্রাস ইসলাম মেহদি মনসুর বিশ্বাস ও আঞ্জেমের থেকে অনুপ্রেরণা পেত। উল্টোদিকে রোহান ইমতিয়াজ নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছিল জাকির নায়েকের সব মুসলিমকে জঙ্গি হওয়ার আহ্বান।