মুম্বই: ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রাস্তায় নেমেছে বেশি সংখ্যক বাস। তবে তাতেও এখনও ছন্দে ফেরেনি মুম্বই। আজ ও আগামীকাল ভারী বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে জনজীবন কবে স্বাভাবিক হবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তৈরি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহারাষ্ট্র সরকারকে সবরকম সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন। তিনি মুম্বই সহ মহারাষ্ট্রের মানুষকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।


এদিকে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে আজ ডাব্বাওলারা খাবার সরবরাহ করতে পারলেন না। গতকাল তাঁরা যে বাক্সে খাবার দিয়েছিলেন, সেগুলি ফেরত নিতে পারেননি। সেই কারণেই আজ তাঁরা খাবার দিতে পারলেন না। ফলে যাঁরা মধ্যাহ্নভোজের জন্য ডাব্বাওলাদের উপর নির্ভরশীল, আজ তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

গতকাল মুম্বইয়ে ২৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের পর একদিনে এটাই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি। গতকাল রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। তবে মাঝেমধ্যেই হচ্ছে বৃষ্টি। বিমানবন্দর, রেল লাইন সহ বেশিরভাগ জায়গাতেই জল জমে গিয়েছে। তবে কিছু অঞ্চল থেকে জল নেমে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আন্ধেরি থেকে ঘাটকোপার পর্যন্ত মেট্রোরেলও চলছে। যদিও ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে খবর, অন্তত ১১টি উড়ান বাতিল করা হয়েছে। রাস্তায় জল জমে থাকায় বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র যানজট দেখা যাচ্ছে। অনেকেই আবার জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়া, ইঞ্জিনে গোলযোগ বা খিদে-তৃষ্ণার কারণে রাস্তাতেই গাড়ি রেখে চলে গিয়েছেন। তার ফলেও যানজট হচ্ছে। মুম্বই সহ গোটা মহারাষ্ট্রে বন্ধ সব স্কুল-কলেজ ও সরকারি প্রতিষ্ঠান।

মুম্বইয়ে বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ভিখরোলির বর্ষানগরে একটি বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে একটি দু বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সূর্যনগরে ভূমিধসে দু জনের মৃত্যু হয়েছে। দহিসাগর ও কান্দিভেলিতে দহিসাগর নদীতে দু জন ভেসে গিয়েছেন। মুম্বই ও সংলগ্ন অঞ্চলে আরও বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় তৈরি রাখা হয়েছে নৌবাহিনীর বিমান, ডুবুরি ও বন্যা মোকাবিলা দলকে।