প্রসঙ্গত, নভি মুম্বইয়ের বেলাপুর শহরতলির বাসিন্দা সোমনাথ। তাঁর শখ ছিল সাপ এবং বিভিন্ন জীব জন্তুকে উদ্ধার করে লালন-পালন করা। সেইরকমই এক ঘটনায় গত ৩০ জানুয়ারি সোমনাথকে ওই বেলাপুর এলাকার এক আবাসনের পার্কিং এলাকার একটি গাড়ির ভেতর থেকে বিষধর একটি গোখরোকে উদ্ধার করার জন্যে ডাক পড়েছিল। সাপটিকে খুব যত্ন সহকারেই উদ্ধার করেন সোমনাথ।
সাপটিকে উদ্ধার করে ওর কোনও আঘাত ছিল কিনা, তার পরীক্ষা করতে যায় সোমনাথ। সাপটির কোনও আঘাত না লাগলেও, একটু অস্থির ছিল বলে জানা যায়। তখন সাপপ্রেমী সোমনাথ সিদ্ধান্ত নেয়, সাপটিকে চুম্বন দিয়ে একটি সেলফি তুলে মুহূর্তটি ফ্রেমবন্দি করে রাখবেন তিনি। সেলফি তোলা হয়ে গেলেও শেষরক্ষা আর হয়নি। উদ্ধারকারীর চুম্বনে আতঙ্কিত প্রাণীটি আচমকাই সোমনাথের বুকে ছোবল মেরে বসে। আর ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনাটি। ছোবল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তপাত শুরু হয়ে যায়, যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করেন সোমনাথ। সোমনাথকে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, ঘটনার পাঁচদিন পর তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় স্তম্ভিত সোমনাথের পরিবার এবং তরুণের বহু পশুপ্রেমী বন্ধু। কারণ, এই তরুণ এরআগে প্রায় ১০০টি সাপ উদ্ধার করেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফে পুশুপ্রেমীদের জন্যে একটি নির্দেশনামা তৈরির আর্জি জানানো হচ্ছে। কারণ এভাবে উদ্ধারে গিয়ে বহু ক্ষেত্রেই প্রাণ দিতে হয়েছে পশুপ্রেমীদের।