লখনউ: মাদ্রাসা পড়ুয়াদের জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের পোশাক বিধির বিরোধিতায় সরব মুসলিম ধর্মগুরু ও শিক্ষাবিদরা। সুফিয়ান নিজামি মাদ্রাসা পড়ুয়াদের ঐতিহ্যশালী পোশাকে বদল আনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেছেন, দেশের সমস্ত মাদ্রাসা ও কলেজে পোশাক বিধি নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় না। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানই বিষয়টি স্থির করে। এক্ষেত্রে মাদ্রাসার প্রতি এভাবে বৈষম্য করা হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন করেছেন নিজামি।
মাদ্রাসা দারুল উলম ফিরাঙ্গি মহলের গলাতেও একই সুর।
ধর্মগুরু মহম্মদ হারুন বলেছেন, মাদ্রাসার পক্ষে ভালো কী হবে, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার তাঁদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত।মুসলিম শিশুদের মাত্র ১-২ শতাংশই মাদ্রায় পড়াশোনা করে। সরকারের এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।
উল্লেখ্য, গতকাল উত্তরপ্রদেশ সরকার মাদ্রাসা পড়ুয়াদের জন্য নয়া পোশাক বিধি চালু করেছে। রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিকে চলতি ব্যবস্থার মধ্যে সামিল করার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই এই বিধি বলে জানা গেছে।
রাজ্যের মন্ত্রী মহসিন রাজা বলেছেন, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতোই মাদ্রাসাগুলিকে গড়ে তোলাই সরকারের লক্ষ্য। মাদ্রাসাগুলির পড়ুয়ারা এখনও পর্যন্ত কুর্তা ও পাজামা পরে। এক্ষেত্রে পোশাক বিধি মাদ্রাসাগুলিকে আরও বেশি প্রথাগত করে তুলবে। আমরা পড়ুয়াদের উইনিফর্ম দেব।
সবকা সাথ, সবকা বিকাশ-এর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন রাজা।
মাদ্রাসা পড়ুয়াদের নতুন পোশাক কী হবে, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে মাদ্রাসা বোর্ডে এনসিইআরটি-র পাঠ্যবই চালুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।