লখনউ: অপরাধ, তিন তালাকের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। স্রেফ এই কারণে নিজেদের এক মহিলা সদস্যের সদস্যপদ পুর্ননবীকরণ করল না অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড।


ওই মহিলার নাম রুখসানা নিখাত লারি, তিনি লখনউয়ের একটি মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। নব্বইয়ের দশক থেকে তিনি মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের অন্যতম সদস্য। গত বছর জুনে লখনউয়ে একটি সেমিনারে মৌলবীদের সঙ্গে তিন তালাক ইস্যুতে তাঁর তীব্র বিরোধ হয়। রুখসানা বলেছিলেন, কোথাও ভুল থাকলে সেটা স্বীকার করা উচিত। শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেটা ভুল বলেছেন বলেই তা স্বীকার না করে সেটার জন্যই জেদ ধরে থাকা মিথ্যের স্বর্গে বাস করা ছাড়া কিছু নয়। কাউকে খুশি করার জন্য নয়, কোরানের ভিত্তিতে এ কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তারপর থেকে বোর্ডের কোনও সাংবাদিক বৈঠকে রুখসানাকে কথা বলতে দেওয়া হত না।

১৩ তারিখ বোর্ড যখন অভিন্ন দেওয়ানি নীতির বিরোধিতায় দেশজুড়ে সই সংগ্রহ অভিযান করে, তাতে সই চাওয়া হয়নি তাঁর। রুখসানা জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে বোর্ড তাঁর অবস্থান জানে। সম্ভব সে কারণেই এ ধরনেরক প্রচারে আর তাঁকে যুক্ত করে না তারা।

বোর্ড অবশ্য বলেছে, নভেম্বরে কলকাতার বৈঠকে রুখসানার সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের সাফাই, তাঁর তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার জন্যই আর সদস্যপদ দেওয়া হয়নি তাঁকে। কিন্তু সব সদস্যকেই কি ৩ বছর পর পর বাদ দিয়ে নতুন সদস্য আনা হয়? বিষয়টি শুধু বোর্ডের স্থায়ী সদস্যদের বিবেচনাধীন বলে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছে তারা।