হায়দরাবাদ: মুসলিমদের জন্য তেলঙ্গনা সরকারের সংরক্ষণ বিল নিয়ে আক্রমণাত্মক বিজেপি। তারা এই ইস্যুটি নিয়ে রাজ্যে জমি বাড়ানোর চেষ্টা করবে বলে জানিয়ে দিল  রাজ্য বিজেপি। দলের দাবি, এই বিলের কোনও আইনি বা সাংবিধানিক বৈধতা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যায়ে গেলেই তা ‘’বাতিল কাগজে’ পরিণত হবে।

তেলঙ্গানার টিআরএস সরকার মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ বিল এনে তাঁদের কাছে রাজ্যে প্রভাব বিস্তারের সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র কৃষ্ণ সাগর রাও। তিনি সাফ জানিয়েছেন, বিলটি তাঁরা রাজনৈতিক হাতিয়ার করবেন। এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাবে বিজেপি। বড়সড় আন্দোলনের মাধ্যমে টিআরএস সরকারের মুখোশ খুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন রাও।

উল্লেখ্য, মুসলিমদের পশ্চাদপদ শ্রেনী ও তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের সীমা বাড়িয়ে গতকাল তেলঙ্গানা সরকারের আনা বিল বিধানসভার উভয়কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে।

তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ‘অনগ্রসর জাতি, তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি সংরক্ষণ বিল ২০১৭’ নামে যে বিলটি গতকাল পেশ করেন, তাতে মুসলিমদের পাশাপাশি তফসিলি উপজাতিদের সংরক্ষণ বাড়ানোরও প্রস্তাব দেওয়া হয়। সমাজের অনগ্রসর শ্রেণি (ই)-র আওতায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এই সীমা ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করা হল। এ ছাড়া, বিলে রাজ্যের তফসিলি উপজাতিদের জন্যও সংরক্ষণ ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এই বিলের ফলে রাজ্যে সংরক্ষণের সীমা ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬২ শতাংশ হয়েছে।

এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি বলেছে, ধর্ম কোনওদিন সংরক্ষণের ভিত্তি হতে পারে না। তাছাড়া, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট সংরক্ষণের সর্বোচ্চ সীমা ৫০ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে।

রাও জানিয়েছেন, এই বিলের বিরুদ্ধে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। তিনি বলেছেন, বিলটির ক্ষেত্রে সরকার যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করেনি। বিলটি বাতিল কাগজমাত্র। এর কোনও বৈধতাই নেই।

রাও অবশ্য বলেছেন, তপশিলী উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের সীমা বাড়ানোয় কোনও আপত্তি নেই বিজেপির।