আলিগড়: উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলায়  আদালত চত্বরেই মুসলিম যুবককে গালিগালাজ ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এক কিশোরীকে নিয়ে ওই যুবক আদালতে গিয়েছিলেন আইনি অনুমতি নিয়ে বিয়ে করতে। মারধরের ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ওই যুবক ও কিশোরী বিয়ে করতে এসেছেন শুনেই আদালত চত্বরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। একদল লোক ওই যুবককে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


পঞ্জাবের আলিগড়ের জীবনগড়ের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সোনু মালিক। তিনি কাপড় বিক্রি করতেন। ফেসবুকের মাধ্যমে পঞ্জাবের মোহালির বাসিন্দা ওই কিশোরীর সঙ্গে সোনুর পরিচয় হয়। পরবর্তী সময় তা প্রেমে গড়ায়। পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলিগড়ের ওই আদালতে পৌঁছে যান যুগল। মেয়ে বাড়ি থেকে পালানোর খবর পাওয়ার পরেই ওই কিশোরীর পরিবার সোনুর বিরুদ্ধে মোহালিতেই অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। প্রেমিকাকে নিয়ে সোনু যখন আদালত চত্বরে পৌঁছন, তখন সেখানের কিছু লোক জানতে পারেন, তাঁরা দুজনে ভিন্ন সম্প্রদায়ের। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে ’লাভ জিহাদ‘ নিয়ে বিতর্ক চলছে। ’লাভ জিহাদ‘ রুখতে অধ্যাদেশ এনেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এই পরিস্থিতিতে সোনুর বিরুদ্ধে ’লাভ জিহাদ‘-এর অভিযোগ তুলে তাঁকে মারধর শুরু করে কিছু লোক। আলিগড় সিভিল লাইন থানার পুলিশ গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে। পুলিশের কাছে কিশোরীর দাবি, তিনি প্রাপ্তবয়স্কা।


পুলিশের কাছে ওই প্রেমিকার বাবার অভিযোগ, মেয়ের পড়াশোনার জন্য তিনি স্মার্টফোন কিনে দিয়েছিলেন। কিন্তু ফেসবুকে পরিচয় হওয়ার পরে ওই যুবক তাঁর মেয়েকে ফুঁসলিয়ে আলিগড়ে নিয়ে আসেন। কিশোরী পরে অবশ্য তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, ’’ফেসবুকে আমাদের পরিচয়। ওর নাম সোনু মালিক বলে জানিয়েছিল। বলেছিল সে হিন্দু। পরে জানা যায় যে, ও মুসলিম। আমাকে বাইকে করে আলিগড় নিয়ে গিয়ে বলে, কোর্ট ম্যারেজ করব। আমরা যখন আদালতে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম, সেখানকার আইনজীবীরা অনেক কিছু বলেছিলেন। তিনি তাঁর নামটি কেবল সোনুকে বলেছিলেন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল সে মুসলিম।‘‘


পুলিশ জানিয়েছে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবক ও কিশোরী তারা উদ্ধার করে। মোহালিতে অপহরণের মামলা রুজু হয়েছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে।