কিন্তু মনদীপের গ্রাম, তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিতভাবেই এর চেয়ে আরও কঠোর, তীব্র, চড়া। জঙ্গিদের পুষছে, এই অভিযোগে পাকিস্তানকে চরম শিক্ষা দেওয়ার ডাক দিয়েছেন তাঁরা। দিওয়ালির খুশির আলো জ্বলেনি গ্রামে ঘরের ছেলের মৃত্যুতে। বিষাদের ছায়া গোটা গ্রামে। গ্রামের মহিলারা একে একে মনদীপের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে স্বান্তনা দিচ্ছেন। প্রতিবেশীরা সব সময় মুখে হাসি লেগে থাকা মনদীপকে ভুলতে পারছেন না। তাঁদের বাড়ি এসে সমবেদনা জানিয়ে গিয়েছেন কুরুক্ষেত্রের ডেপুটি কমিশনার সুমেধা কাটারিয়া।
মনদীপের ভাই সন্দীপ সিংহ বলেন, তাঁরা চান, একটার বদলে দশটা পাকিস্তানির মাথা আনতে হবে।
দু বছর হল, কুরুক্ষেত্রের আনতেহরি গ্রামের ৩০ বছরের জোয়ান ছেলে সন্দীপের বিয়ে হয়েছে। তাঁর স্ত্রী প্রেরণা হরিয়ানা পুলিশের হেড কনস্টেবল। কুরুক্ষেত্রের শাহবাজ মারকান্দায় কর্মরত। পাকিস্তানকে চিরতরে সমুচিত শিক্ষা দিতে হবে যাতে আর কোনও সেনা জওয়ানের পরিবারকে কোনওদিন এমন যন্ত্রণা পেতে না হয়, দাবি তুলেছেন প্রেরণা। বাঁধভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেন, দিওয়ালিতেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল ওর। কিন্তু মাচিল সেক্টরে সীমান্তে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ছুটি বাতিল হয়ে যায়।
তাঁর দাবির পুনরাবৃত্তি করে মনদীপের বাবা বলেন, ওর কর্তব্য পালন করেছে ও। নিজের জীবন দিয়েছে ও। এবার আমাদেরও পাকিস্তানকে মুখের মতো জবাব দিতে হবে।