লখনউ: মাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের থেকে বিচারের আশায় নিজের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখল ১৫ বছরের এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে বুলন্দশহরের দেবীপুর এলাকায়। এরআগে অবশ্য একাধিকবার এই ঘটনাকে অখিলেশ সরকারের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল মৃত মহিলার বড় সন্তান। কিন্তু কোনও ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি। শেষপর্যন্ত সে বাধ্য হয়ে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখল।


লতিকা এবং তানিয়া বনসল, দুই কিশোরীর অভিযোগ তাদের মাকে তাদের বাবা ও তার পরিবারের লোকজন জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। তাদের মায়ের অপরাধ, তিনি সংসারে কোনও পুত্র সন্তান দিতে পারেননি।

লতিকা জানিয়েছে, জুন মাসের ১৪ তারিখ তার ঠাকুমা এবং বাবার পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িতে এসে জানায়, তাদের বাবা ফের বিয়ে করবে। এমন একজনকে বিয়ে করবে যে তাদের পরিবারকে পুত্র সন্তান দিতে পারবে। এরপরই ঠাকুমা এবং তাদের মায়ের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। সেইসময় উত্তেজিত হয়ে বাবার পরিবারের লোকজন তার মায়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।

এই ঘটনায় খুব তাড়াতাড়ি বিচারের আশায় তাই লতিকা অখিলেশকে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখেছে। চিঠিতে ১৫ বছরের কিশোরী আরও লিখেছে, সে ১০০ ডায়াল করে পুলিশের থেকে সেদিন কোনও সাহায্য পায়নি। এমনকি অ্যাম্বুলেন্স ডাকা সত্বেও, তাও আসেনি।

অবশেষে তার মামা এসে ঘটনাস্থল থেকে তার মাকে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। ৯৫ শতাংশ পোড়া নিয়ে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় লতিকা এবং তানিয়ার মায়ের।

লতিকা জানিয়েছে, গত পনেরো বছর ধরে তার মায়ের ওপর মারাত্মক অত্যাচার চলেছে। তার ছোট বোন তানিয়ার জন্মের পর তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয় তার বাবার বাড়ির লোকজন।