ইম্ফল: মণিপুরে গঠিত হল প্রথম বিজেপি সরকার। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন এন বীরেন সিংহ।


এদিন ইম্ফলে রাজ্যপাল নাজমা হেপতুল্লা রাজভবনে বীরেন সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান। এদিন বিজেপি ও সমর্থনকারী দলগুলি থেকে মোট আটজন মন্ত্রী নির্বাচিত হন।


শরিক দলগুলি থেকে নব-গঠিত মন্ত্রিসভায় উল্লেখযোগ্য পদ পেয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ওয়াই জয়কুমার। তাঁকে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা হলেন -- বিশ্বজিৎ সিংহ (বিজেপি), এল জয়ন্তকুমার সিংহ, এল হাওকিপ ও এন কৈসি (সকলেই এনপিপি), এল ডিখো (এনপিএফ) ও কর্মশ্যাম (এলজেপি)।


কংগ্রেসের দলত্যাগী শ্যামকুমার, যিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁকেও মন্ত্রী করা হয়েছে। এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ অন্যান্যরা। উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি সিংহ। তবে, আসার কথা থাকলেও, বিমান বিভ্রাটের কারণে আসতে পারেননি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু।


https://twitter.com/narendramodi/status/841930933204860930

নবনিযু্ক্ত মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন টুইটারে মোদী লেখেন, শপথ নেওয়ার জন্য এন বীরেন সিংহ ও তাঁর দলকে অভিনন্দন। আমি নিশ্চিত এই দল মণিপুরের উন্নয়নের স্বার্থে নিরন্তর প্রয়াস করবে।


প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরে মণিপুরে সরকার গঠন নিয়ে একপ্রস্থ নাটক চলেছে। ১১ তারিখ মণিপুরে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৩১। সেখানে দেখা যায়, কংগ্রেস জিতেছে ২৮টি আসনে। বিজেপি ২১টিতে। তৃণমূল জিতেছে একটি আসনে। অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।

গত রবিবার রাতে কংগ্রেসের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ রাজ্যপাল নাজমা হেপতুল্লার সঙ্গে দেখা করে দাবি করেন, আঞ্চলিক দল এনপিপি-র চারজন জয়ী প্রার্থী তাদের সমর্থন করতে প্রস্তুত। এর ফলে তাদের পক্ষে সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৩২। অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগারের থেকে এক বেশি।



রাজ্যপাল তাঁকে বলেন, এনপিপির সভাপতি ও জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আসতে। এর মধ্যেই বিজেপি-ও দাবি করে, এনপিপি, এনপিএফ, আরএলডি এবং তৃণমূল কংগ্রেস মিলিয়ে ৩২ জন জয়ী প্রার্থীর সমর্থন তাঁদের দিকে। এই ৩২ জনকে নিয়ে রাজভবনেও চলে যান বিজেপি নেতৃত্ব।


সূত্রের খবর, এরপরই রাজ্যপাল নাজমা হেপতুল্লা কংগ্রেসের ইবোবি সিংহকে শীঘ্র পদত্যাগপত্র জমা দিতে বলেন, যাতে পরবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। এতে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। তাদের দাবি, মণিপুরে যেহেতু তারা সবচেয়ে বেশি আসনে জিতেছে, তাই তাদেরই সরকার গঠনের ডাক পাওয়া উচিত ছিল।