নাগপুর: নাগপুরের এক ওয়েব সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকের মা ও শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হল নর্দমার মধ্য থেকে। শনিবার মাঝরাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁরা। বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটারের মত দূরে নর্দমার মধ্যে বস্তায় ঠাসা অবস্থায় তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়।


ওই সাংবাদিকের নাম রবিকান্ত কাম্বলে, বাড়ি নাগপুরের পবনসূত নগরে। তিনি অপরাধের খবর সংগ্রহ করতেন। তাঁর স্ত্রী চাকরি করেন পুলিশে। এই ঘটনায় এক মুদিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ১ বছরের নাতনি রাশিকে নিয়ে রবিকান্তের মা ঊষা সেবাক্রম কাম্বলে শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ বেড়াতে বার হন। রাত দেড়টা নাগাদ রবিকান্ত স্থানীয় থানায় জানান, যে তাঁরা বাড়ি ফেরেননি। পুলিশ খবর নিয়ে দেখে, শেষ তাঁদের দেখা গিয়েছিল গণেশ সাহু বলে এক ব্যক্তির মুদির দোকানের কাছে। খোঁজাখুঁজির পর গণেশের গাড়ি ও বাড়িতে রক্তের দাগ পাওয়া যায়। চাপের মুখে সে স্বীকার করে নিয়েছে খুনের কথা।

গণেশ বলেছে, ঊষা সুদের বিনিময়ে টাকা ধার দিতেন। তাঁর কাছ থেকে ৭০০০ টাকা ধার নিয়েছিল সে, তা ফেরতও দিয়ে দেয়। কিন্তু তা নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঊষা নাকি খারাপ ভাষা ব্যবহার করেন। খুনের দিন বিকেলে তাঁকে দেখতে পেয়ে বাড়ির ভেতরে ডাকে সে। তিনি ভেতরে গেলে গণেশ তাঁর মাথা দুবার জোরে দেওয়ালে ঠুকে দেয়। মাটিতে পড়ে ঊষা চেঁচামেচি শুরু করেন। তখন তাঁর গলা কেটে দেয় সে। তাই দেখে ১ বছরের রাশি কেঁদে উঠলে তার গলাও কেটে দেয়। এরপর স্ত্রীর সাহায্যে দেহদুটি বস্তায় পুরে রাত ১০টা নাগাদ নর্দমায় ফেলে দিয়ে আসে সে।

রবিকান্তের দুই যমজ সন্তান- রাশি ও খুশি। দুজনের মধ্যে একজন সব সময় ঠাকুমার কাছে থাকত। তাই মেয়েকে না দেখেও কিছু সন্দেহ না করে তাঁর স্ত্রী রূপালি অন্য মেয়ে খুশিকে নিয়ে ঘুমোতে চলে যান। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ তিনি বুঝতে পারেন শাশুড়ি রাশিকে নিয়ে ফেরেননি। রবিকান্ত তখনও বাড়ি না ফেরায় তাঁকে খবর দেন তিনি। তারপর খবর যায় পুলিশে।