সেনা সূত্রে খবর, নাগরোটা টোল প্লাজা পার হওয়ার পর সোজা শ্রীনগরে গিয়ে মুম্বইয়ের ধাঁচে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। সেনা সূত্রে খবর, জঙ্গিরা কোথায় পৌঁছেছে, কী করছে, P-1 ও P-5 এই দুটি সাঙ্কেতিক নম্বর থেকে মেসেজে আসছিল প্রশ্ন। ওইদিন সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে চার জইশ জঙ্গির মৃত্যু হয়। পাশাপাশি, আজ অবন্তীপোরায় দুই সন্দেহভাজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, পুলিশ নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি ডিজিটাল মোবাইল রেডিও বাজেয়াপ্ত করেছে। সেখানেই পাক হ্যান্ডলারদের পাঠানো কিছু টেক্সট মেসেজ পাওয়া গিয়েছে। 'কোথায় পৌঁছেছো', 'পরিস্থিতি কী', 'কোনও সমস্যা তো নেই'.. এ ধরনের কিছু মেসেজ পাক হ্যান্ডলার ও জঙ্গিদের মধ্যে বিনিময় হয়।
ডিজিটাল মোবাইল রেডিও-র পাশাপাশি পুলিশ পাকিস্তানি হ্যান্ডসেট ও পাকিস্তানি সিম কার্ডও উদ্ধার হয়েছে।
নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে একে ৪৭ রাইফেল ও পিস্তল সহ প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, জঙ্গিদের বড়সড় হামলার পরিকল্পনা ছিল। সম্ভবত জেলা পর্যায়ের নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর ছক ছিল তাদের।
ইতিমধ্যে নাগরোটাকাণ্ডে পাক হাইকমিশনারকে তলব করেছে দিল্লি।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন।