নয়াদিল্লি: মেহবুবা মুফতির সঙ্গে দেখা করায় ‘দঙ্গল’ ছবিতে গীতা ফোগটের ভূমিকায় অভিনয় করা কাশ্মীরের মেয়ে জায়রাকে যেভাবে অনলাইনে ট্রোল করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করলেন বেঙ্কাইয়া নাইডু। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার তথা নগরোন্নয়নমন্ত্রী আজ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মাস কমিউনিকেশন-এর অনুষ্ঠানে বলেছেন, যে তথাকথিত ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা এর আগে ‘অসহিষ্ণুতা’ নিয়ে গেল গেল রব তুলেছিলেন, তাদের প্রকৃত স্বরূপ পরিষ্কার হয়ে গেল এ ঘটনায়। কেন নিজের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করায় ওকে ক্ষমা চাইতে হল? তথাকথিত অতি-উদারবাদীরা কোথায়? এখন কেন তারা সবাই চুপ?


‘দঙ্গল’-এর সাফল্যের প্রেক্ষাপটে ১৬ বছরের জায়রার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তাকে ট্রোল করা শুরু হয়। কেন সে মেহবুবার কাছে গিয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে তাকে এমন চাপ দেওয়া হতে থাকে যে, শেষ পর্যন্ত ফেসবুকে ক্ষমা চায় সে। এমনকী সে যে চাপে পড়ে ক্ষমা চাইছে না, তাও জানাতে হয়। দঙ্গল-এর সাফল্যের কৃতিত্বও নাকচ করে সে।




বেঙ্কাইয়া বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের শিশুরা দেশের মূল ধারায় সামিল হয়ে নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরছে, অগুনতি কিশোর-কিশোরীকে অনুপ্রাণিত করছে, এটা বিরাট ব্যাপার। সেইসঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, জায়রার ঘটনাটি তুলে ধরল তথাকথিত ছদ্ম উদারপন্থীরা কেমন পরিস্থিতি অনুযায়ী রং বদলায়, প্রয়োজন মতো মাপকাঠি বদলায়। জম্মু ও কাশ্মীরের এই প্রতিভাধর তরুণ শিল্পীর কী অপরাধ? মেয়েটি এগনোর রাস্তা দেখিয়েছে, ওকে বাক্যবাণে বিদ্ধ না করে বরং ওর  প্রশংসা করা, ওর জন্য গর্ব বোধ করা উচিত সকলের, বলেন বেঙ্কাইয়া।


খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশনের ২০১৭ সালের ডায়েরি, ক্যালেন্ডারে মহাত্মা গাঁধীকে সরিয়ে নরেন্দ্র মোদীর  ছবির ব্যবহারে বিতর্ক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন,  অহেতুক, অপ্রয়োজনীয় ইস্যু খুঁচিয়ে তোলা হচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই খাদির প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। খাদি সামগ্রী বিক্রি ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে! নিন্দুকদের পাল্টা মন্ত্রীর তোপ, এরাই সেইসব লোক যারা কখনও জাতির জনককে অনুসরণ করেনি। কংগ্রেস শাসনে ৫ বছরে কোনও ছবি ছিল না গাঁধীর। তার নিন্দা তো এরা করেনি।