নয়াদিল্লি: আঞ্চলিক দলগুলির নেতাদের সঙ্গে আজ বেশ কয়েক দফায় বৈঠক করলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি কোনও ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোটে সামিল হওয়ার পক্ষপাতী নন বলে জানালেন তাঁর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র এক নেতা। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের পরই তিনি এ ধরনের কোনও মোর্চায় সামিল হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা।
তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত সপ্তাহের রাজধানী সফরের পর নাইডুর দিল্লিতে এসে একাধিক রাজনৈতিক বৈঠক ঘিরে ২০১৯-এর ভোটের আগে ফেডেরাল ফ্রন্ট তৈরির জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
কিন্তু দেশম নেতাটি বলেন, নাইডু ঠিক এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী নন। তিনি বরং লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে চান, তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন। বর্তমানে তাঁর একমাত্র নজর শুধু অন্ধ্রপ্রদেশেই।
সংসদে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দেশমের অনাস্থা প্রস্তাব পেশের ব্যাপারে সমর্থন জোগাড় করতে তিনি নানা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। টিএমসি, এনসিপি, ডিএমকে, এআইএডিএমকে, সপা, বসপা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কংগ্রেস, এমনকী এনডিএ-র কয়েকটি শরিক দলের নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা হয় তাঁর। যে তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির (টিআরএস) সঙ্গে দেশমের আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক, সেই দলের নেত্রী কে কবিতার সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন।
বিরোধী শিবিরের এক নেতার কথায়, উনি বর্তমান পরিস্থিতিতে অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি জোট হলে তার সংখ্যা, শক্তি কী দাঁড়াতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই এগচ্ছেন বলে মনে হয়। কোনও শিবিরে এখনই যোগ দেওয়ার তাড়ায় নেই তিনি।
দেশম প্রধান বিজেপির হেমা মালিনী, জয়ন্ত সিনহার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। পরে তিনি নিজেই ট্যুইট করেন, অন্ধ্রের প্রতি 'বঞ্চনা'ই ছিল যাবতীয় আলোচনার কেন্দ্রীয় বিষয়। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি ফারুক আবদুল্লা, টিএমসি নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে অনাস্থা প্রস্তাবের ব্যাপারে কথা হয়েছে। তবে অন্ধ্রকে 'বিশেষ মর্যাদা' দেওয়ার বঞ্চনার কথাও তুলে ধরেছি।