নয়াদিল্লি: বিতর্কিত ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েককে জেরা করতে চলেছে এনআইএ। ইতিমধ্যে, জাকিরের ৭৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, মুম্বই ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় প্রায় ১০০ কোটি বিনিয়োগ করেছে জাকিরের সংস্থা বলেও জানা গিয়েছে।


গত নভেম্বর মাসে জাকির এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসদমন ধারায় মামলা দায়ের করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। জাকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আঘাত হানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।


বোন নায়লা নৌশাদ নুরানি সহ জাকিরের ২০ জন সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনআইএ। জানা গিয়েছে, তাঁদের থেকে আয়কর সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে, দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে থাকা ৭৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের তথ্য পেতে ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কগুলির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এই  প্রেক্ষিতে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার ওপরও নজর রাখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই সংস্থা বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় ও শিক্ষা-সংক্রান্ত ভিডিও তৈরি করেছিল। তদন্তকারীদের মতে, তথ্য খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শেষ হলেই জাকিরকে তলব করা হবে।


ইতিমধ্যেই, বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইনের আওতায় জাকিরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ)-কে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। জাকিরের বাণী ইউকে, কানাডা, মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ প্রচারের দায়ে অভিযুক্ত পিস টিভির সঙ্গে জাকিরের সংস্থার একটি গোপন সম্পর্কের হদিস পায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।


এরসঙ্গে যোগ হয় ঢাকা জঙ্গি হামলার অভিযোগ। জানা যায়, এক হামলাকারী নায়েকের বাণীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল। আবার মুম্বইয়ে ধৃত কয়েকজন তরুণও জানিয়েছিল, তারা জাকির নায়েকের মন্তব্যে অনুপ্রাণিত। ওই যুবকরা ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়েছিল।