গত বছর একের পর এক মহিলা যখন অতীতে নিজের ওপর ঘটে যাওয়া যৌন নিগ্রহের না-বলা কাহিনি প্রকাশ্যে এনে ‘মিটু আন্দোলনে’র সূচনা করেছিলেন, তখনও তিনি তা ‘ভুল কাজ’ বলেছিলেন। বলেছিলেন, যৌন হেনস্থার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হলেও অভিযুক্ত পুরুষকে কলঙ্ক থেকে বাঁচানোর কোনও রাস্তা থাকে না।
সোমবার তিনি ট্যুইট করেন, ভারতীয় সমাজ অন্যদের মতো নয়, তাই যৌন হয়রানি মামলায় তদন্তের সমাপ্তি পর্যন্ত অভিযুক্ত পুরুষদের নামও গোপন রাখা উচিত। নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার পরও কলঙ্কের দাগ লেগেই থাকবে, এই মানসিক চাপে পড়ে নয়ডার জেনপ্যাক্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট আত্মহত্যা করেছেন, আরও হাজার হাজার লোক করছেন।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরে জেনপ্যাক্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ৩৫ বছরের স্বরূপ রাইয়ের দেহ তাঁর নয়ডার বাসভবনে সিলিং ফ্যানে ঝুলে থাকা অবস্থায় উদ্ধার হয়। দুজন কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানালে সংস্থার অভ্যন্তরীণ অভিযোগ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত কমিটির তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত তাঁকে অফিসের কাজকর্ম থেকে সরিয়ে রাখা হয়।
উদিত রাজ আগেও ট্যুইট করেন, যৌন নিগ্রহের শিকার মহিলার লিখিত বা মৌখিক অভিযোগকেই শিরোধার্য বলে গণ্য করে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বা তার ইস্তফা দাবি করার মানে কোনও পুলিশি বা বিচার ব্যবস্থার দরকারই নেই। অভিযোগ ভুল প্রমাণ হলে কী হবে, একটি মানুষ কি নিজের আহত সম্মান ফিরে পাবেন?