হায়দরাবাদ: বুধবার সংসদের উভয়কক্ষেই কংগ্রেসকে বিঁধে পরিবারতন্ত্র নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস, গাঁধী পরিবারের বাইরে কাউকে সম্মান করেনি! বিজেপি আমলেই প্রবীন ও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়কে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘ভারতরত্ন’-এ সম্মানিত করা হয়েছে। কংগ্রেস প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও কিংবা ডঃ মনমোহন সিংহ-কে সম্মানিত করার কথা ভাবেনি,  নরেন্দ্র মোদির এই আক্রমমের পরই গাঁধী পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন এআইসিসি সেক্রেটারি জি চিন্না রেড্ডি। এমনকি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাওকে কাঠগড়া দাঁড় করাতেও পিছপা হলেন না অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের এই প্রাক্তন মন্ত্রী।


তাঁর বক্তব্য, সনিয়া গাঁধী ও কংগ্রেস পার্টিই পিভি নরসিমা রাওকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসাতে সাহায্য করেছে। আর সেই তিনিই কিনা গাঁধী পরিবারকে কোণঠাসা করতে চেয়েছেন মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়ার ভয়ে! এখানেই শেষ নয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের বিরুদ্ধে আরও মারাত্মক অভিযোগও করেছেন তিনি। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় মুসলিমরা কংগ্রেস থেকে মুখ ফিরিয়েছে, দূরত্ব তৈরি করেছে, আর তার জন্য দায়ী পিভি নরসিমা রাও, দাবি রেড্ডির।


তাঁর দাবি, “কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টার কাছে সব তথ্যই ছিল। কেন্দ্র চাইলেই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারত।”


একই সঙ্গে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ভারতরত্ন নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। জি চিন্না রেড্ডি বলেন, “প্রণব মুখোপাধ্যায় নিঃসন্দেহে একজন বিচক্ষণ সাংসদ এবং মহান প্রশাসকও বটে। তবে তিনি নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে বক্তব্য রাখার প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। আর তারপরই তাঁকে ভারতরত্ন প্রদান করা হয়েছে।”


উল্লেখ্য, জি চিন্না রেড্ডি অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে এআইসিসি-র সেক্রেটারি পদে নিয়ে আসা হয় অন্ধ্রের এই নেতাকে।