মুম্বই: নরেন্দ্র দাভোলকরের খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার। মহারাষ্ট্রের পানভেল থেকে ধৃত হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির সদস্য বীরেন্দ্র সিংহ তাওড়ে। অন্যতম অভিযুক্ত সারাঙ্গ আকোলকরকে খুঁজছে সিবিআই।


যুক্তিবাদী আন্দোলনের কর্মী নরেন্দ্র দাভোলকর হত্যা মামলায় অবশেষে তিন বছর পর সাফল্য পেল সিবিআই! ধরা পড়ল হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির সদস্য বীরেন্দ্র সিংহ তাওড়ে। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পানভেল থেকে এই ‘ইএনটি স্পেশালিস্ট’কে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা।

সূত্রের খবর, গোয়ার সনাতন সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আরেক যুক্তিবাদী গোবিন্দ পানেসরের খুনের ঘটনার পর সনাতন সংস্থার নাম সামনে আসে।

সিবিআই সূত্রে দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন বীরেন্দ্র। তিনি সনাতন সংস্থার কর্মী সারাঙ্গ অকোলকরের অনুগামী। ২০০৯ সালের গোয়া বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তে নাম উঠে আসে অকোলকরের। ২০১২ সালে তাঁর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করে ইন্টারপোল।

সম্প্রতি বীরেন্দ্র ও অকোলকরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু সিমকার্ড ও মোবাইল ফোন। কম্পিউটার থেকে মেলে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এর সূত্র ধরেই দাভোলকর খুনে বীরেন্দ্রর যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের অন্যতম চক্রী ৩৪ বছরের সারাঙ্গ আকোলকর। গোয়া বিস্ফোরণের পর থেকে যাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে এনআইএ।

প্রসঙ্গত, ২০১৩-র ২০ অগাস্ট পুণের রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয় পেশায় চিকিত্সক ও যুক্তিবাদী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী নরেন্দ্র দাভোলকরকে। ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা দেশ। অসহিষ্ণুতার অভিযোগ তুলে পদক ফিরিয়ে দেন সাহিত্যিক-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ২০১৪ সালে মে মাসে বম্বে হাইকোর্ট দাভোলকর হত্যামামলা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তারপর এই প্রথম গ্রেফতার!