নয়াদিল্লি: স্বামীজির মতবাদ স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেরণা। প্রজন্মর পর প্রজন্মকে তাঁর বাণী উজ্জীবিত করেছে। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে দ্বিতীয় জাতীয় যুবা সংসদ মহোৎসবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ কথা বললেন। প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বামীজি ব্যক্তি গড়েছেন বলে মন্তব্য করেছন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এদিনের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী সকলকে নতুন প্রেরণা দেয়। সময় এগোচ্ছে, দেশ আজ স্বাধীন কিন্তু আজও আমরা দেখতে পাচ্ছি, স্বামীজির প্রভাব একটুও কমেনি। অধ্যাত্মবাদ নিয়ে তিনি যা বলেছেন, জাতীয়তাবাদ, রাষ্ট্রনির্মাণ নিয়ে যা বলেছেন, মানব সেবা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, সবই আজও আমাদের হৃদয়ে তেমনই তীব্রভাবে প্রভাব ফেলে। তিনি আমাদের আরও একটি অমূল্য উপহার দিয়েছেন। তা হল ব্যক্তিত্ব নির্মাণ, সংগঠন নির্মাণ। এর চর্চা খুবই কম হয় আমাদের মধ্যে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনেকে স্বামীজির আহ্বানে প্রভাবিত হয়ে সংগঠন তৈরি করেন, সেই সব সংগঠন থেকে এমন মানুষ বার হন যাঁরা তাঁর দেখানো পথে হেঁটে নতুন লোকেদের এর সঙ্গে যুক্ত করেন। স্বামীজিই বলেছিলেন, নির্ভীক, পরিষ্কার হৃদয়ের সাহসী ও উচ্চাকাঙ্খী যুব সমাজই রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করে। তরুণ প্রজন্মের ওপর তাঁর এতটাই বিশ্বাস ছিল।

তিনি বলেছেন, আগে সকলে ভাবত, কেউ যদি রাজনীতির দিকে ঝোঁকে তবে তার বাড়ির লোক বলে, ছেলে বিগড়ে গিয়েছে। কারণ রাজনীতির অর্থ ছিল ঝগড়াঝাটি, লুঠপাট ও দুর্নীতি। সকলে বলত, আর সব কিছু বদলে যেতে পারে কিন্তু ক্ষমতার হাতবদল হয় না। কিন্তু আজ রাজনীতিতে সৎ মানুষও জায়গা পাচ্ছেন, সততা আজ রাজনীতির প্রথম এবং অনিবার্য় শর্ত। যারা এতদিন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল, সেই দুর্নীতিই আজ তাদের বোঝা। লাখো চেষ্টার পরেও তারা গা থেকে সেই কালি মুছতে পারছে না।

একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র ঢুকে গিয়েছে, একটি পরিবারকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। এর ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছে দেশের গণতন্ত্র।