নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদি সরকার গত ৬ বছরে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে বলে ফের তোপ দাগলেন রাহুল গাঁধী। তাঁর অভিযোগ, কৃষক, শ্রমিক ও ছোট ব্যবসায়ীরা গত ছয় বছর কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হয়েছেন।


ছত্তীসগঢ়ে ২২টি জেলার সদরে কংগ্রেসের কার্যালয় গঠিত হবে। ভিডিও কনফারেন্স মারফত তারই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন রাহুল। সেখানে তিনি বলেন, অসংগঠিত ক্ষেত্রেই দেশের ৯০ শতাংশ কর্মসংস্থান হয়। যদিও নোটবন্দি, অযৌক্তিক জিএসটি চালুর মতো পদক্ষেপে সেই দিকটা ধ্বংস করে দিচ্ছে কেন্দ্র।

রাহুল বলেন, “ভারতের অর্থনীতি দুরকমের। এক, সংগঠিত ক্ষেত্র, যেখানে বড় সংস্থাগুলো জড়িত। আর দুই, অসংগঠিত ক্ষেত্র, যেখানে লক্ষ লক্ষ কৃষক, মজুর, ছোট ব্যবসায়ী ও দরিদ্র মানুষ রয়েছেন। গত ছ বছর ধরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে আঘাত হেনে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এটা করছেন কারণ এই ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ রয়েছে যে অর্থকে মোদিজি বড় ব্যবসায়ীদের দিকে চালিত করতে চান।”

সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির তথ্য অনুযায়ী, লকডাউনের চার মাসে শুধু সংগঠিত ক্ষেত্রেই দেশের প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু জুলাই মাসেই কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মহীন হয়েছেন আরও লক্ষ লক্ষ মানুষ। দেশের বেকারত্বের এই ছবি নিয়ে শুরু থেকেই সরব রাহুল। বৃহস্পতিবার তিনি সরকারকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে দাবি করলেন,আগামী দিনে কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। রাহুলের কথায়, ”আগামী দিনে ভারত সরকার যুব সমাজকে চাকরি দিতে পারবে না। আমি যখন বলেছিলাম করোনায় ভারত বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে, সংবাদমাধ্যম আমাকে নিয়ে রসিকতা করেছিল। এখন আমি বলছি, ভারত সরকার নিজেদের যুবসমাজকে চাকরি দিতে পারবে না। বিশ্বাস না হলে ৬-৭ মাস অপেক্ষা করুন।”