নয়াদিল্লি:  আগামীকাল একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে ১৯৫৯-এ চিনা বাহিনীর গুলিতে শহিদ পুলিশ কর্মীদের শ্রদ্ধা জানাবে দেশ। সেইসঙ্গে আগামীকালের 'পুলিশ স্মরণ দিবসে' স্বাধীনতার পর দেশের ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় যে ৩৪,৪০০ জন প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদেরও শ্রদ্ধা জানানো হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি বিবৃতি এ কথা জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।


১৯৫৯-র শরত্কাল পর্যন্ত তিব্বতের সঙ্গে ২,৫০০ মাইল সীমান্ত প্রহরার দায়িত্ব ছিল ভারতীয় পুলিশ কর্মীদের ওপর। ১৯৫৯-র ২০ অক্টোবর উত্তর-পূর্ব লাদাখের হট স্প্রিং থেকে তিনটি নজরদারি দল রওনা দেয় একটি ভারতীয় অভিযানের আরও অগ্রগতির প্রস্তুতি হিসেবে। ওই অভিযান তখন লানক লা-র পথে এগোচ্ছিল। নজরদারি দলের তিনটির মধ্যে দুটি ফিরে আসে। কিন্তু দুই কনস্টেবল ও কুলি সহ একটি দল ফিরে আসেনি। পরের দিন সকালে নিখোঁজদের সন্ধানে বাকি বাহিনীকে পাঠানো হয়।ডেপুটি সেন্ট্রাল ইন্সপেক্টর অফিসার (ডিসিআইও) পর্যায়ের আধিকারিক করম সিংহের নেতৃত্বে ২০ জন পুলিশ কর্মীর একটি দল পাঠানো হয়। ওই দল ঘোড়ার পিঠে রওনা দেয়। অন্যরা পায়ে হেঁটে।

দুপুর নাগাদ একটি টিলার ওপরে থাকা চিনা সেনার দল ভারতীয় সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, গ্রেনেড ছোঁড়ে। একেবারে খোলা জায়গায় থাকায় ভারতীয় দলের বেশিরভাগই জখম হন। দশ পুলিশ কর্মী শহিদ হন।

১৯৫৯-এর ১৩ নভেম্বর নিহত ভারতীয় পুলিশ কর্মীদের দেহ ফিরিয়ে দেয়। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লাদাখের হট স্প্রিং এলাকাতেই শহিদ পুলিশ কর্মীদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

পরের বছরের জানুয়ারিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলির পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেলদের সম্মেলনে বাহিনীর অকুতোভয় জওয়ানদের স্মরণের জন্য  ২১ অক্টোবর দিনটিকে 'পুলিশ স্মরণ দিবস' হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

হট স্প্রিংয়ে একটি স্মারক স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পুলিশ বাহিনী সাহসী শহিদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হট স্প্রিং পর্যন্ত 'ট্রেক' করেন।