নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরল্ড মামলায় ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস। ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগের তদন্তে স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, এই ইয়ং ইন্ডিয়নের ৮৩.৩ শতাংশ মালিকানাই রয়েছে গাঁধী পরিবারের হাতে।
আয়কর তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল কংগ্রেস। হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছিল রিট পিটিশন। কিন্তু বিচারপতি এস মুরলিধর ও সি শেখরের বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে বলেন, এই আবেদনে সাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। বরং আবেদনকারী আবেদন প্রত্যাহার করে, আয়কর দফতরের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।
এরপরে সংস্থার আবেদন প্রত্যাহার করে নেন অভিষেক মনু সিঙভি। তিনি অবশ্য বলেন, পিটিশন খারিজ হলেও যে প্রশ্নগুলি আনা হয়েছিল, তা খারিজ হয়নি।
অনদিকে, দিল্লি হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত বিজেপি শিবির। গাঁধী পরিবারকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা এবং মামলাকারী সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এই ইস্যুতে সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীকে রাজনৈতিক ফল ভুগতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর এই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে হয় সনিয়া-রাহুল সহ সব অভিযুক্তকে।
১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহরুর প্রতিষ্ঠা করা ‘ন্যাশনাল হেরল্ড সংবাদপত্রে’র মূল মালিকানা ছিল অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেডের হাতে। ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৯০ কোটি টাকার দেনার দায়ে তখন জর্জরিত অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেড। তখন সেই সংস্থাকে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকায় অধিগ্রহণ করে কংগ্রেস প্রভাবিত ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান’। এরপরে ৯০ কোটি টাকার ঋণ মকুব করে তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার।
তারপরই সনিয়া ও রাহুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বেআইনিভাবে সম্পত্তি হস্তগত-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় আয়কর দফতরে নতুন করে সংস্থার সম্পত্তির হিসেব নিকেশ করার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আয়কর দফতরের সেই তদন্ত আটকাতেই দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল, যা খারিজ করে দিল আদালত।