প্রতি বছরই ২৫ জানুয়ারি দিনটি দেশে জাতীয় পর্যটন দিবস হিসাবে পালিত হয়। ভারতবর্ষ মানেই হাজারো বৈচিত্র্য়ের দেশ। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য়ই ভারতের মন্ত্র। বহুমুখী সংস্কৃতি বিরাজ করে এদেশে। পর্যটনেও তার প্রতিফলন দেখা যায়। তাজমহলের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের টানে দক্ষিণ ভারতের নানা মন্দির। আছে অজন্তা, ইলোরা। মোটের ওপর ভারতে ঘুরে দেখার মতো আকর্ষণীয় স্থানের তালিকা বানাতে বসলে, শেষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ঠিক কবে থেকে দিনটি উদযাপন শুরু হয়েছে, তা সঠিক বলা সম্ভব নয়। ১৯৪৮ সালে দেশে পর্যটন চাঙ্গা করতে একটি ট্যুরিস্ট ট্রাফিক কমিটি তৈরি করা হয়। কমিটির আঞ্চলিক দপ্তর প্রথম খোলা হয় দিল্লি, মুম্বইয়ে। তিন বছর বাদে, ১৯৫১ সালে আরও দপ্তর হয় কলকাতা ও চেন্নাইয়ে। তবে শুধুমাত্র পর্যটনের বিকাশকে মাথায় রেখে সম্পূর্ণ আলাদা একটি দপ্তর খোলা হয় ১৯৫৮ সালে, পর্যটন ও যোগাযোগ মন্ত্রকের অধীনে। যার মাথায় ছিলেন ডেপুটি জেনারেল স্তরের যু্গ্ম সচিব।
দিনটির গুরুত্ব অত্যন্ত স্পষ্ট। দেশে পর্যটনের মূল্য, কীভাবে তা দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর প্রভাব ফেলে, তার ওপর আলোকপাত করা। দেশের প্রতিটি জায়গার আলাদা ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে । নানা ভাবে তার উদযাপন হয়। তাকে তুলে ধরার সবচেয়ে ভাল মাধ্যম পর্যটন। পাশাপাশি দেশে পর্যটনের ভূমিকার ব্যাপারেও দেশবাসীকে অবহিত, সচেতন করা হয়।
এবছর জাতীয় পর্যটন দিবসের থিম হল দেখো আপনা দেশ অর্থাত্ নিজের দেশকে দেখুন। কোভিড-১৯ অতিমারী মোকাবিলায় চালু হওয়া লকডাউনে পর্যটন ব্যবসার বিরাট ক্ষতি হয়েছে। এ বছর দিনটি পালিত হচ্ছে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে। ২১ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটনমন্ত্রক এই থিমের ওপর সেমিনার-আলোচনাসভার আয়োজন করেছে। তার মাধ্যমে ভারতবর্যের বৈচিত্র্যমুখী সংস্কৃতিতে তুলে ধরতে চায় তারা।