নয়াদিল্লি: আগামীকাল স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস। দিনটি জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালন করার জন্য দেশের সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিল ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশন। উপাচার্য-অধ্যক্ষদের লেখা এক চিঠিতে কমিশন তাঁদের করোনা বিধি মেনেই স্বামীজির জন্মদিবস উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দিয়েছে।


১৯৮৪ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবসটি জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমত ১৯৮৫ থেকে ১২ জানুয়ারি দেশজুড়ে পালিত হয় জাতীয় যুব দিবস হিসেবে। এ বছর ইউজিসি বলেছে, এই উপলক্ষ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনলাইন বক্তৃতা, স্বামীজির বাণী নিয়ে ওয়েবিনারের আয়োজন করতে পারে। এছাড়া আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, প্রবন্ধ রচনা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক সভার আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে তারা, বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীজির বাণী ও শিক্ষা প্রচার করতে। এই সব কার্যকলাপ শেয়ার করতে বলা হয়েছে ইউজিসির ওয়েবসাইট ugc.ac.in/uamp-তে।

মানুষ গড়ার কারিগর স্বামীজি দেশ ও জাতি গঠনে তরুণ তরুণীদের এগিয়ে আসার ওপর বারবার জোর দিয়েছেন। স্থবির, জড় সমাজকে ঘা দিয়ে জাগিয়ে তোলার জন্য বলেছিলেন, গীতা পাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভাল। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে সীমাহীন ক্ষমতা লুকিয়ে রয়েছে তা উদঘাটন করার কথা বলেছেন তিনি। ব্রিটিশ শাসনে ইতি করে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্যও তরুণদের প্রেরণা দেন তিনি। তিনি বলেন, পচাগলা এই সমাজ শেষ হোক, বেরিয়ে আসুক নতুন ভারত। লাঙল ধরে, চাষার কুটির ভেদ করে, ভুনাওয়ালার উনুনের পাশ থেকে। এই আমাদের উত্তরাধিকারী, ভবিষ্যৎ ভারত।

আদর্শের জন্য প্রাণ পর্যন্ত বিসর্জন দিতে যুবক যুবতীদের উৎসাহ দেন তিনি। যে পরিবর্তন তিনি জাতীয় ও সমাজ জীবনে দেখতে চেয়েছিলেন, তাঁর আশা ছিল, তা আসবে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে। বিবেকানন্দের দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধায় ও ভবিষ্যর প্রজন্মকে তাঁর আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে আগামীকাল জাতীয় যুব দিবস পালন করবে তাঁর স্বপ্নের ভারত ভূখণ্ড।