নয়াদিল্লি: আগামী লোকসভা ভোটের ২ বছর আগেই এনডিএ নজিরবিহীনভাবে জানিয়ে দিল, ২০১৯-এর ভোট তারা লড়বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। ৩৩ সদস্যের এনডিএ-র প্রত্যেক দলের প্রতিনিধিই হাজির ছিলেন এই বৈঠকে। ভারতের রাজনীতিতে এই প্রথম ভোটের ২ বছর আগেই কোনও জোট তাদের নেতা নির্বাচন করল।


বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু জানিয়ে দেন, এনডিএ ঠিক করেছে, নিজেদের শক্তি বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রীর নীতি ও নেতৃত্বের ওপরেও আস্থা রাখা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে জয়ের জন্য মোদীর নেতৃত্ব ও ক্যারিশমার প্রশংসা করা হয়েছে।

মনে করা হয়েছিল, আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা করতেই শরিকদের জন্য এই নৈশভোজের আয়োজন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মাঝরাত পর্যন্ত চলে বৈঠক। কিন্তু জানা গিয়েছে, আলোচনা শুধু হয়েছে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্ব নিয়ে। পুরো এনডিএ সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে তাঁর পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে।



বিজেপির সবথেকে পুরনো জোট শরিক শিবসেনার সঙ্গে সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। কাল রাতের বৈঠকে কিন্তু উপস্থিত ছিলেন সেনা সুপ্রিমো উদ্ভব ঠাকরে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে তাঁর সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা সারেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-বিজেপি জোটের মতবিরোধ দূর করা নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের।



বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী যে সমাপ্তি ভাষণ দেন, তাতে তিনি বলেন, গত তিন বছরে দারিদ্র্য কমেছে। এবার সরকারি সব যোজনার সুফল গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে হবে।

এক সঙ্গে ভোটের দাবিতে আরও আলোচনা চাই।

আরও ছড়িয়ে দিতে হবে এনডিএ-কে।

রাষ্ট্রপতি ভোটের আগে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপির আশা, এর ফলে এনডিএ-র সংঘবদ্ধতা নিয়ে দেশজোড়া বার্তা পৌঁছবে, নতুন দল হাত ধরতে চাইবে এই জোটের।