বিল পাশ নিয়ে শেষ হচ্ছে ঝামেলা, জুনের মধ্যে রাজ্যসভায় ইউপিএ-র সদস্যসংখ্যা টপকে যাবে এনডিএ
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
20 May 2016 02:31 AM (IST)
নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় বিল পাশ করানো নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে দর কষাকষির দিন শেষ। সব কিছু ঠিকঠাক চললে জুনের মধ্যে ইউপিএ-র রাজ্যসভা সদস্যসংখ্যা টপকে যাবে এনডিএ ও সহযোগী দলগুলি। অবশ্য অসমে বিজেপির বিরাট জয় এখনই রাজ্যসভার আসনসংখ্যা হেরফের করবে না কারণ ২০১৯-এর জুন পর্যন্ত অসম থেকে রাজ্যসভার কোনও আসন ফাঁকা নেই। কিন্তু আগামী মাসে তামিলনাড়ুতে একটি রাজ্যসভা আসনে ভোট, ফলে উচ্চতর কক্ষে একজন এআইএডিএমকে সদস্যসংখ্যা বাড়তে পারে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও পুদুচেরির ভোটও রাজ্যসভার সদস্যসংখ্যায় হেরফের ঘটাবে না, এ বছর এই ৩ রাজ্য থেকেই রাজ্যসভায় আসার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আগামী মাসে ভোট হবে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও উত্তরপ্রদেশের ৫৭টি আসনে। এই রাজ্যসভা আসনগুলির বেশিরভাগই জুন থেকে অগাস্টের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যাবে। বিজেপি ৪টি অতিরিক্ত আসন ও টিডিপি ৩টি আসন জিতবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থাৎ নানা রাজ্য থেকে নির্বাসিত ১৪জন বিজেপির রাজ্যসভা সদস্য অবসর নিতে চললেও তারা পেতে চলেছে মোট ১৮টি আসন। যে ৫৭টি আসনের হিসেব দেওয়া হয়েছে সেগুলির মধ্যে ৬টি তামিলনাড়ুর। ৬ বছরের সময়সীমা শেষ করে ওই রাজ্যসভা সদস্যরা অবসর নিচ্ছেন। এগুলির মধ্যে তিনটি এডিএমকের, দুটি ডিএমকের ও একটি কংগ্রেসের। বিধানসভা ভোটে সহজেই উতরে যাওয়া এডিএমকে একটি অতিরিক্ত আসন জিতবে মনে করা হচ্ছে। ফলে ডিএমকে যদি দুটি আসন রাখতে পারলেও রাজ্যসভায় যাবেন এডিএমকের ৪জন সদস্য। ফলে ৬০জন সদস্য নিয়ে কংগ্রেস তখনও সবথেকে বড় দল হলেও এই প্রথম রাজ্যসভায় ইউপিএ-র ৭০ সদস্যের দলকে টপকে যাবে ৭৬ সদস্যের এনডিএ।
যদিও গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পাশ করাতে এনডিএ-কে তখনও দুই জোটের বাইরে থাকা দলগুলির ওপর ভরসা রাখতে হলেও সঙ্গে থাকা এই অতিরিক্ত সদস্যসংখ্যা অবশ্যই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে তাদের। জোটের বাইরে থাকা দলগুলির মধ্যে রয়েছে এসপি, বিএসপি, বিজেডি তৃণমূল ও এডিএমকে। হয় বিলের পক্ষে ভোট দিয়ে বা ভোটাভুটির সময় অনুপস্থিত থেকে রাজ্যসভায় এনডিএর সুবিধে করে দিতে পারে এরা।
এছাড়া মনোনীত সদস্যরাও সম্ভবত এনডিএর পক্ষে ভোট দেবেন। কেন্দ্রের সুপারিশে গত মাসই ছজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, তবে একটি আসন এখনও ফাঁকা। যদি সরকার ওই ফাঁকা আসনে কাউকে নির্বাচিত করে, তাহলে তারা মোট ৭জনের অতিরিক্ত সমর্থন পাবে। এই মনোনীত সদস্যরা শাসক দলের হুইপ মানতে বাধ্য না হলেও সাধারণত তাঁরা শাসক দলের সঙ্গেই থাকেন। দুজন সদস্য তো ইতিমধ্যেই রাজ্যসভা সেক্রেটারিয়েটকে জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপির হুইপ মেনে চলবেন তাঁরা।
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -