এমনকী সনিয়া ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং।
২৩ জুন সম্ভবত মনোনয়ন পত্র পেশ করছেন দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত কোবিন্দ।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি সভাপতি জানান, সব দলকেই তাঁরা এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। বলেন, রামনাথ কোবিন্দ দলিত, পিছড়ে বর্গের মানুষের জ্ন্য সংগ্রাম করছেন অনেকদিন ধরেই।
নির্বাচিত হলে কোবিন্দ হবেন কে আর নারায়ণনের পর দেশের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি।
অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষমতাসীন তেলুগু দেশম, তেলঙ্গানার শাসক দল টিআরএস কোবিন্দকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে। শিবসেনা বলেছে, তারা কোবিন্দ সম্পর্কে অবস্থান ঠিক করতে বৈঠক ডাকছে।
সিপিআই জানিয়েছে, তারা কোবিন্দের পাল্টা প্রার্থী দেওয়ার পক্ষপাতী।
শোনা যাচ্ছিল, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতে পারেন। কিন্তু তিনি তা খারিজ করে দিয়েছেন গুজব বলে। লোকসভা অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন ও ঝাড়খণ্ডের স্পিকার দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ওই পদের জন্য শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোভিন্দের মতো এমন একজনকে প্রার্থী করল, যাঁর সম্পর্কে আগাম কোনও আভাসই ছিল না।
সৌজন্যের খাতিরে এই সিদ্ধান্ত সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশের আগে জানিয়ে দেওয়া হয় লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর জোশীর মতো প্রবীণ নেতাদেরও, যাঁরা মোদী জমানায় দলে উপেক্ষিত বলে ঘনিষ্ঠ মহলে অনুযোগ করে থাকেন বলে শোনা যায়।
৫ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী স্থির করতে আজ বৈঠকে বসে বিজেপি সংসদীয় বোর্ড। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বৈঠকে। ছিলেন অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
অরুণ জেটলি ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলেছেন, আলোচনা সেরেছেন বিজেডির সঙ্গেও। পাশাপাশি এসপির দুই নেতা রামগোপাল যাদব ও নরেশ আগরওয়াল ভেঙ্কাইয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। জানিয়ে এসেছেন, কোনও অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, রাইসিনা হিলে তাঁরা রাজনীতির কাউকে দেখতে চান।
এর আগে গত সপ্তাহে রাজনাথ সিংহ ও ভেঙ্কাইয়া কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। উল্টোদিকে বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি. এস সুধাকর রেড্ডি ও ডি রাজা ফোনে কথা বলেছেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের সঙ্গে।